কৃষি বিল নিয়ে শুরু থেকেই সব কৃষকরা আন্দোলন করছে, তাদের মতে এই বিল লাগু হলে কৃষকেরা তাঁদের জমিজমা ও স্বাধীনতা সবই কর্পোরেট হাউসগুলির হাতে তুলে দিতে বাধ্য থাকবে। এর মধ্যেই কৃষি বিল নিয়ে কেন্দ্রকে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সংসদে পাস হওয়া কৃষিবিলের বিরোধিতা করে যে তিনটি পিটিশন জমা পড়েছে তা ইতিমধ্যেই খারিজ না করে আরো সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই এই বিল নিয়ে ব্যপক অশান্তি শুরু হয়।
কৃষি বিল পাশ করানো নিয়ে রুল বুকে ছিঁড়ে ফেলা, ডেপুটি স্পিকারের মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থেকে ওয়েলে নেমে বিরোধীদের তপ্ত স্লোগান, সবই হলো কিন্তু বিরোধীদের হারিয়ে শেষমেশ কৃষি বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিছুদিন আগেই ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে “কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন” এবং “কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চু্ক্তি” সংক্রান্ত বিল।
এরপর বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ জানান আট জন সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার না করলে রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করবে বিরোধীরা৷ কেন্দ্রও জানায় নিজেদের আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলেই আট জন বিরোধী সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করা হবে।
এমনকি সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়ে এ দিন রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দলের সাংসদরা। এর পরেও কৃষি বিলে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি। এছাড়াও ছত্তিশগড় কিসান কংগ্রেসও একটি আবেদন জানিয়েছে। তারা বলেছে কেন্দ্রের এই বিল মান্ডি ব্যবস্থা নিয়ে তাদের রাজ্যে যে নিয়ম বহাল আছে তাকে ব্যাহত করবে।