নিউজদেশ

অগ্নিপথ প্রকল্প আরো বেশি বেকারত্ব তৈরি করবে, সংসদে কেন্দ্র বিরোধিতায় সুদীপ

কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে প্রথম থেকেই রাজনীতি অত্যন্ত সরগরম

Advertisement
Advertisement

ভারতের অগ্নিপথ প্রকল্প একেবারেই খুব একটা ভালো প্রকল্প ছিল না। ভারত সরকারকে আরো একবার এই নিয়ে ভেবে দেখা উচিত। অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে আরো একবার কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তোপ দাগলেন ভারতের বিরোধী দলনেতারা। ইতিমধ্যেই অগ্নিপথ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। এই প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব হচ্ছে তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। সোমবার অগ্নিপথ ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের মতামত জানার জন্য বৈঠক করেছিলেন প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি। সেখানেই প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়ে উঠেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কোনো কোনরকম আলোচনা না করেই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে এসেছে সরকার। এই কারণে গোটা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

Advertisement
Advertisement

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ডাকে সোমবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা বৈঠকে এই প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করেছি। আমাদের পাশাপাশি কংগ্রেস এবং এন সি পি সাংসদরা প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন। বৈঠক শেষে একটা স্মারকলিপি আমরা জমা দিয়েছি। আমাদের দাবি, এই প্রকল্পটি আলোচনার জন্য সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠাতে হবে। ততদিন পর্যন্ত যেন এই প্রকল্প সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়।” তৃণমূলের তরফ থেকে সাংসদ সৌগত রায় বললেন, “এত বেকার যুবক যদি চার বছর বাদে রাস্তায় ঘোরে তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে। সরকার যে বলছে মাত্র তিন হাজার পদের জন্য ৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে, সেটা কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য নয়। বরং সেটা দেশের বেকারত্বের জন্য।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষনার পর থেকেই সারাদেশে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরিচিতি সব থেকে বেশি হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল বিহারের বেশ কিছু জায়গায়। একের পর এক ট্রেনে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয়। সব মিলিয়ে বেশ চাপে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার পাশাপাশি আগামী ১৮ই জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে বিরোধীরা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button