টেক বার্তা

স্পোর্টি ডিজাইন, দারুন মাইলেজ, আবারো বাজার কাপাতে ফিরছে ইয়ামাহা RX100

৯০ এর দশকের এই বাইকটি ছিল সকল ভারতীয় এর প্রথম পছন্দ

Advertisement
Advertisement

আপনি যদি ভারতের সবচেয়ে সস্তা ও ভালো মোটরসাইকেল সম্পর্কে কথা বলেন, তাহলে এটা হতে পারে না যে, Yamaha RX100 এই তালিকায় নেই। ইয়ামাহা আরএক্স১০০ এমন একটি বাইক যা ভারতের একটা বড়ো সংখ্যক মানুষের হৃদয়ে স্থান পেয়েছে। এই বাইকটি বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের মনের একটা জায়গায় স্থান করে নিয়েছে এতদিনে। Yamaha RX100 একটা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ছিল ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় এবং সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া বাইক। কয়েক বছর যাবৎ এই বাইকের বিক্রি কিছুটা কমলেও, সম্প্রতি আবারও ইয়ামাহা কোম্পানিটি এই বাইকের রি-লঞ্চের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

Advertisement
Advertisement

Yamaha RX100 বাইকটি ছিল ৯০ এর দশকের সবথেকে জনপ্রিয় বাইকের মধ্যে একটি। এর উৎপাদন ১৯৮৫ সালে শুরু হয় এবং ১৯৯৬ সালে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, এখন হয়তো কোম্পানি এটি আবার চালু করতে পারে। বিজনেস লাইনসকে দেওয়া একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে, ইয়ামাহা ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ইশিন চিহানা বলেছেন, ইয়ামাহা এখনও পর্যন্ত তার কোনও পণ্যে RX100 নাম ব্যবহার করেনি। ভবিষ্যতে কোম্পানির এই নাম আবারো ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাইকটির ডিজাইন এতটাই ইউনিক এবং আকর্ষণীয় হবে যে ভালো মানের কোনো রয়েল এনফিল্ড বাইকও এর সামনে ফিকা হয়ে যাবে।

Advertisement

তার বিবৃতি ইঙ্গিত করে যে, Yamaha আবারো RX100 ফিরিয়ে আনতে পারে। তবে, পুরানো Yamaha RX100 ফিরিয়ে আনা হবে না কখনোই। এই বাইকে একটি টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হতো। আজকের দিকে ভারতে ৬ স্ট্রোক ইঞ্জিন বাধ্যতামূলক। তবে, যদি ইঞ্জিন পরিবর্তন করা যায় তাহলে RX100 আবারো বাজারে আসতে পারে। পাশাপশি, যদি বাজারে এই বাইক আসে, তাহলে এই বাইকের ডিজাইনও পরিবর্তিত হবে। সঙ্গেই জানা যাচ্ছে এই বাইকে আপনারা পেয়ে যাবেন ৭০ কিমি প্রতি লিটারের মাইলেজ। এই বাইকের দাম ততটা বেশি না হলেও এই বাইকে আপনারা দারুন ডিজাইন ও দারুন ফিচার পেয়ে যাবেন। ৯০ দশকের সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনতে কোনো কসরত বাকি রাখছেন না ইয়ামাহা কর্তারা। এশিয়ার সেগমেন্টে এই বাইক দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

Advertisement
Advertisement

কোম্পানি এই বাইকের ফিচারও আপডেট করবে, যাতে এটি আজকের বাজারে পাওয়া বাইকের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। এই বাইকে কোম্পানি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, ডিজিটাল স্পিডোমিটার, ডিজিটাল ট্রিপ মিটার এবং ডিজিটাল ওডোমিটারের মতো বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করতে পারে। একই সময়ে, ব্লুটুথ সংযোগের পাশাপাশি, সংস্থাটি USB চার্জিং পোর্টের মতো হাই-টেক বৈশিষ্ট্যও অফার করতে পারে। যদি রিপোর্টের কথা বিশ্বাস করা হয় তবে এটি ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাজারে আসতে পারে। পাশাপাশি, এর দাম সম্পর্কে কথা বললে, কোম্পানি এই বাইকটিকে ৮০,০০০ টাকার এক্স-শোরুম মূল্যে বাজারে লঞ্চ করতে পারে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button