দেশনিউজ

কাল সূর্যগ্রহণ, সৌরবিজ্ঞানীদের কাছে একটি বিশেষ দিন

Advertisement
Advertisement

বৃহস্পতিবার সূর্য গ্রহণ। সূর্য আমরা রোজই দেখি কিন্তু দেড় বছরে একবার করে সূর্যকে নিয়ে সবারই কৌতুহল জাগে, সেই দিনে সকলের মধ্যমণি হয় সূর্য। সেই দিনটি হল সূর্যের পূর্ণগ্রাসের দিন। সূর্যের পূর্ণগ্রাস পৃথিবী থেকে থেকে চওড়ায় ১৬০ কিলোমিটার এবং লম্বায় ১০ হাজার কিলোমিটার জুড়ে দেখা যায়।

Advertisement
Advertisement

সূর্যের পূর্ণগ্রাসের সময় সীমা ৬ থেকে সাড়ে ৬ মিনিট হয় যা বড়জোর ৭ মিনিট হতে পারে। এই পূর্ণ গ্রাস নিয়ে গোটা বিশ্বে সাড়া পড়ে যায় কারণ সূর্যের পূর্ণগ্রাসের দিনেই সূর্যকে গভীরভাবে পরিদর্শন করার সুযোগ থাকে। সূর্যগ্রহনের সময়ই চাঁদের ব্যাস মাপা হয়েছিল, এছাড়াও সূর্য গ্রহণের জন্যই পৃথিবীর আকার কেমন তাও প্রথম জানা সম্ভব হয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন : অযোধ্যায় রামমন্দিরে বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক, গোয়েন্দা সূত্রে খবর 

Advertisement
Advertisement

সূর্যের পূর্ণগ্রাস একটি দিনে পৃথিবীর সর্বোচ্চ হয় না কোথাও তা পুরোপুরি হয় আবার কোথাও আংশিক সূর্যগ্রহণ হয়। পূর্ণগ্রহনকে বলে টোটাল সোলার একলিপ্স। অংশগ্রহণকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে পার্শিয়ার সোলার একলিপ্স। চাঁদের ছায়ার ঘন কালো অংশ আমব্রা পৃথিবীর যেই এলাকার মধ্যে পড়ে সেখানে সূর্যের পূর্ণগ্রাস দেখা যায়। এছাড়াও সূর্যের আরেক ধরনের গ্রাস দেখা যায় যাকে বলে বলয়গ্রাস। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে অ্যানুলার সোলার একলিপ্স।

যদি চাঁদের কক্ষপথ বৃত্তাকার হত ও চাঁদের অবস্থান আরো কাছে হতো এবং চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথ একই তলে থাকতো তাহলে আমরা প্রত্যেক মাসে সূর্যের পূর্ণগ্রাস দেখতে পেতাম। কিন্তু চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। তাই পূর্ণগ্রাস, আংশিক গ্রাস, ও বলয়গ্রাস মিলিয়ে সূর্যগ্রহণ বছরে পাঁচ বারের বেশি সম্ভব নয়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button