বলিউডবিনোদন

Snigdhajit Bhowmik: ‘স্ত্রী-কে মাটির বাড়িতে রেখে টিভিতে নাটক করছো?’ জবাব দিলেন স্নিগ্ধজিৎ

×
Advertisement

এবছর হিন্দি টেলিভিশন শো সারেগামাপা-র মঞ্চে বাংলার জয়জয়কার। সেরা ১৬ জন প্রতিযোগির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলার স্নিগ্ধজিৎ, কিঞ্জল, অনন্যা, নীলাঞ্জনার গায়ক গায়িকারা। এঁরা সকলেই বাংলা রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চের অতি পরিচিত মুখ। গায়ক গায়িকা হিসাবে যথেষ্ট নামডাক রয়েছে সকলের। এদের মধ্যে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক বাংলা সারেগামাপা ২০১৯-ফাইনালে পৌঁছেছিলেন । তবে, একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় সেই ট্রফি।

Advertisements
Advertisement

যদিও এসব এখন অতীত। বাংলার মঞ্চ ছাড়িয়ে এই ছেলে জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় মঞ্চে। সারেগামাপা ২০২১-র ‘টপ ১৬’ তে নাম লেখানোর পাশাপাশি পেয়ে গিয়েছেন সুরকার বিশাল দাদলানির সুরে গান গাওয়ার সুযোগ।আর স্নিগ্ধজিতের গান শুনে তাঁকে নিজের হাতে স্টেজে এসে মেডেল পরিয়ে দিয়েছেন বিশাল। উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছে জুড়ি সদস্যরা। অডিশনের এই দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘বত্তমিজ দিল’ গেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর সবার এত ভালোবাসা পেয়ে মঞ্চেই কেঁদে ফেলেন স্নিগ্ধজিৎ। আর শোয়ের তরফ থেলে তাঁর স্ত্রীর সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। নিজের ভালোবাসাকে এদিন প্রাপ্ত নিজে গোল্ড মেডেল দেখান এই গায়ক। আর সঙ্গে নিজের ভালোবাসাও জাহির করেন সবার সামনে!

Advertisements

Advertisements
Advertisement

২০১৯ সালে বাংলা সারেগামাপা-য় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক। এবারে জাতীয় স্তরে নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পেয়েছেন। আর প্রথম ধাপে সাফল্য পেয়েছেন। তবে এর মাঝে ট্রোলাররা প্রশ্ন তোলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে স্নিগ্ধজিৎ জি বাংলা সারেগামাপা-র প্রতিযোগী হওয়ায় নাকি জাতীয় স্তরে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। আর এই কথাতে মর্মাহত গায়ক। বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে এবার নিজের মনের কথা বললেন স্নিগ্ধজিৎ। হেটার্সদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘তাঁকে কোনও বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি। সরাসরি সুযোগ দেওয়া হয়নি। কলকাতায় একবার, তারপর মুম্বইতে চারবার অডিশন দিয়ে তিনি সেরা ১৬-য় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনিও লাইনে দাঁড়িয়েছেন। যাঁরা তাঁর উপর ভরসা রেখেছেন তাঁদের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে চাই তিনি’। গত সপ্তাহে মেগা অডিশনে ‘বত্তমিজ দিল’ গেয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। তবে তাঁর কথায়, তাঁর চেয়েও আরো প্রতিভাবান গায়ক এই দেশে আছে। তবে হয়ত তিনি সৌভাগ্যবান। কিন্তু আগে থেকে কিছু ফিক্স ছিল, তিনি এমনই সিলেক্ট হয়েছি তা নয়’। 

রবিবারের এপিসোডে পারফরম্যান্সের পর দেখা যায় কেঁদে ফেলেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ। এরপর তাঁর স্ত্রী, অদিতি ভিডিও কলে অভিনন্দন জানায় স্বামোকে। সেইসময় ভিডিও কলে টালির চালওয়ালা মাটির বাড়ি-তে দেখা যায় অদিতিকে। ঘরের ফাটা দেওয়ালও দর্শকদের নজর এড়ায়নি। এই প্রসঙ্গে স্নিগ্ধজিৎ বলেন তবে সেটা নাটক নয়। স্নিগ্ধজিৎ নিজের সাফাই দিয়ে বলেন, ‘অদিতি এই মুহূর্তে তাঁর গ্রামের বাড়িতে আছে। সেখান থেকে নিজের জার্নি তিনি শুরু করেছিলেন। ওটা কোনও নাটক নয়। এখন দর্শকদের দয়ায় আমাদের অবস্থা স্বচ্ছল। কিন্তু ওটা তাঁর গ্রামের বাড়ি। আসলে স্নিগ্ধজিৎের মা অসুস্থ ছিলেন, নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। গতকালই উনি ছাড়া পেয়েছেন। তাই অদিতি গ্রামের বাড়িতে আছেন। তিনি কোনো কিছু মিথ্যা বলেননি। নাটক করেননি’। 

স্নিগ্ধজিৎ এদিন আরো স্পষ্ট করেন, অদিতি তাঁর প্রেমিকা নন, স্ত্রী। ১১ বছর আগেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তাঁরা। মানুষের সহানুভূতি অর্জনের জন্য স্ত্রীকে মাটির ঘরে রাখবার কোনও মানসিকতা তাঁর। ২০০৫ সাল থেকে গায়ক হওয়ার স্ট্রাগল চালিয়ে যাচ্ছেন স্নিগ্ধজিৎ আর তার পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। লকডাউনের জেরে শিল্পী হিসাবে অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাই নতুন করে শুরু করবার আশা নিয়েই সারেগামাপা-র মঞ্চে আসা। 

Related Articles

Back to top button