সম্প্রতি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করেছেন।দিল্লির বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে শোভন ও তার বান্ধবী বৈশাখী বিজেপিতে যোগ দেন।শোভনের যোগদানের পর বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয় নি।শোভন এখনো তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ও কাউন্সিলর পদ না ছাড়লেও তৃণমূল এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করলো না।তৃণমূল থেকে এর আগে একাধিক নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।সেই ক্ষেত্রে দলত্যাগ করার সঙ্গে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
মুকুল রায়, সৌমিত্র খান, অর্জুন সিং,অনুপম হাজরা সহ অন্যান্য তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের ক্ষেত্রে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।মুকুল রায় যেদিন তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেন সেই দিনেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।শুধু তাই নয়, মুকুল রায়কে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা কখনও চাটনিবাবু,কখনও কাচড়াপাড়ার কাচা ছেলে আবার কখনও অন্য কোনো কিছু বলে কটাক্ষ করেছেন।কিন্তু তৃণমূল ছাড়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলের কেউ কোনোরকম আক্রমণ করেন নি।
তৃণমূল শোভনের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কারনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।তৃণমূল কী শোভনকে শুধু উপেক্ষাই করছে নাকি অন্য কোনো পরিকল্পনা রয়েছে সেই ব্যাপারে যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে।শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।তবুও শোভনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্হা নিতে দেখা গেল না তৃণমূলকে।অন্যান্য দলত্যাগীদের থেকে আলাদা নীতি কেন নেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে যথেষ্ট আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।