নিউজপলিটিক্সরাজ্য

বন্ধুরা পরিবর্তন করেছেন, এবার হয়তো আমাকেও ভাবতে হবে, তৃণমূলের দিকে পা বাড়াচ্ছেন বিজেপির রিমঝিম?

রিমঝিম মিত্রের কথায় শুরু হয়েছে জল্পনা

Advertisement
Advertisement

কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়েছেন অভিনেতা অনিন্দ্য পুলক এবং অভিনেত্রী রুপা ভট্টাচার্য। দুজনের বিজেপি ত্যাগ করার পরেই আবারো বিজেপিতে বিদ্রোহের সুর। এবারে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির তারকা নেত্রী রিমঝিম মিত্র। অভিযোগ করে তিনি জানিয়েছেন, দলের বহু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের খবর তিনি পাচ্ছেন না। এমন ভাবে যদি দল চলতে থাকে তাহলে তিনি হয়তো আর দলে থাকতে পারবেন না, বরং তিনি অন্য দলের যোগাযোগ করবেন।

Advertisement
Advertisement

২০১৯ সালের একুশে জুলাই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন টলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ রিমঝিম মিত্র। রিমঝিমকে আমরা মাঝে মধ্যে বেশকিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখেছি। পাশাপাশি বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমাতে তার অভিনয় দেখে দর্শক মন মুগ্ধ হয়েছিলেন। এর পরেই দর্শক আশা করেছিলেন যেরকম ভালো অভিনয় তিনি করেন সেরকমই হয়তো ভালো রাজনীতিবীদ তিনি হবেন। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে একাধিক সভামঞ্চেও তাকে দেখা গিয়েছিল বারংবার। সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার পরেও যেখানে রুদ্রনীল ঘোষের মতো সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা নেতা টিকিট পেয়েছিলেন, সেখানে রিমঝিম মিত্র কে টিকিট দেয়নি গেরুয়া শিবির।তারপর থেকেই কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ পাচ্ছিল রিমঝিমের কথাবার্তায়।

Advertisement

একাধিক তারকা নেতা-নেত্রী বিজেপি টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনে। কেউ কেউ হয়তো পরাজিত হয়েছেন। অনেককে হয়তো প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়নি, তাই অনেকে দল ত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার মধ্যেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল রিমঝিম মিত্র নাকি বিজেপির মধ্যে থেকেও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে রয়েছেন। এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে তৃণমূলের দাপুটে নেতা মদন মিত্র সঙ্গে লাইভ করার পরেই। সম্প্রতি রাখির দিন দলের তারকাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে রিমঝিম মিত্র কে দেখা যায়নি। তারপর থেকেই জল্পনা বাড়ছিলো।

Advertisement
Advertisement

সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার ছন্দপতন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রিমঝিম মিত্র জানালেন, “দলের বিভিন্ন বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির খবর পাই। কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের খবর আমাকে দেওয়া হয় না। আমার অনেক বন্ধুরা তৃণমূলে গিয়েছেন। এ সুযোগ আমারও ছিল।আমি সেই সময় ওই সুযোগ গ্রহণ করিনি। কিন্তু সেরকম যদি চলতে থাকে তাহলে আমাকেও হয়তো ভাবতে হবে।উপযুক্ত সন্মান না পাওয়ায় অনেকে বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন। টেকেন ফর গ্রান্টেড করে দেওয়ার ফলে কি হতে পারে তা আমরা খুব ভাল করে দেখেছি।”

যদিও বিজেপি নেত্রীর এহেন মন্তব্য নিয়ে কিছুটা বিব্রত দেখা গেল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বললেন, ” বিজেপিতে কেউ অপরিহার্য নয়।তবে এরা কেন দল ছাড়ছেন তা এদের ভেবে দেখা দরকার। শাসকের হাতছানি অনেকের কাছে গ্রহণীয় হলে তাদেরকে ধরে রাখা যায় না।” আপাতদৃষ্টিতে শমীক ভট্টাচার্য এবং বিজেপি নেতৃত্ব এদের নিয়ে খুব একটা বেশি উপর থেকে ডোন্ট কেয়ার মনোভাব প্রদর্শন করলেও ভেতরে ভেতরে যে রক্তক্ষরণের ফলে বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Advertisement

Related Articles

Back to top button