ভাইরাল & ভিডিও

Ranu Mondal: মিষ্টিতে নাকি মেশানো রয়েছে মদ! অনুরাগীর আনা মিষ্টি প্রত্যাখ্যান করলেন রানু মন্ডল

রানাঘাটে ফিরে এলেও মাঝে মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হন রানু মন্ডল

Advertisement
Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়াতে আজকাল ভিডিও বানিয়ে পোস্ট করা ব্যাপক ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। অনেকেই নিজেদের প্রতিভার ভিডিও বানিয়ে বা অবাক করা কোনো ঘটনার সম্মুখীন হলে, তার ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে জনপ্রিয়তা পেতে চায়। আবার অনেকের রুজিরুটি হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও বানানো। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রতিভার ভিত্তিতে অনেকেই রাতারাতি স্টার হয়ে গিয়েছে। কথাটা কি বিশ্বাস হল না? আশা করি সকলেই রানাঘাটের রানু মন্ডলের নাম শুনেছেন। তাঁর লতাকণ্ঠি স্বরে একটি গান তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল।

Advertisement
Advertisement

রানু মন্ডল চরম দরিদ্রতা জর্জরিত হয়ে রানাঘাটের রেলস্টেশনে ভিক্ষা করে দিন চালাতেন। হঠাৎ করেই একদিন তাঁর গান করার একটি ভিডিও ক্যামেরাবন্দী করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই গোটা দেশজুড়ে রানু মন্ডলের নাম ছড়িয়ে যায়। লতা মঙ্গেশকরের, “এক পেয়ার কা নাগমা হে” গানটি রানু মন্ডলের জীবনের ভোলবদল করে দিয়েছিল। প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে স্বপ্ননগরী মুম্বাইতে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তারপর হিমেশ রেশমিয়ার সাথে “তেরি মেরি কাহানি” গানে সুর দিয়ে গোটা দেশের কাছে উজ্জ্বল তারকা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে এমন চাকচিক্যপূর্ণ জীবন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি তাঁর। অতিরিক্ত অহংকার এবং অনেকের সাথে দুর্ব্যবহারের জন্য শেষপর্যন্ত এখন রানাঘাটের ভগ্নপ্রায় বাড়িতে ফিরে এসেছেন রানুদি।

Advertisement

তবে রানাঘাটে ফিরে এলেও তাঁর জনপ্রিয়তাতে কমতি হয়নি। বেশিরভাগ ভাইরাল ভিডিওর স্টার এখন সকলের প্রিয় রানুদি। মাঝে মাঝে কিছু ইউটিউবার রানাঘাটে পৌঁছে যায় রানুদির সাক্ষাৎকার নিতে। আর তাঁর বাড়িতে গেলেই কিছু খাবার নিয়ে যাওয়া মাস্ট। কেউ বিরিয়ানি তো কেউ মিষ্টি নিয়ে রানু মন্ডলের সাথে আড্ডা দিতে পৌঁছে যান। সম্প্রতি এক বাঙালি ইউটিউবার রানাঘাট থেকে মিষ্টি কিনে রানু মন্ডলের সাথে দেখা করতে যান। অবশ্য রানু মন্ডল মিষ্টির গন্ধ পেয়ে অভিযোগ করে বসেন যে মিষ্টিতে নাকি মেশানো রয়েছে মদ।

Advertisement
Advertisement

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে রানু মন্ডল দাবি করছেন যে তাঁর জন্য যে মিষ্টি আনা হয়েছে তা দিয়ে মদের গন্ধ আসছে। তবে ওই ইউটিউবার যুবকের মতে, সে রানাঘাটের একটি দোকান থেকেই মিষ্টি কিনে এনেছে। এমনকি ইউটিউবার যুবক একটা মিষ্টি খেয়ে দেখালেও, রানু মন্ডল একটি মিষ্টিও খেতে চাননি। যুবকের সাথে অল্পবিস্তর গল্প করলেও বারংবার মিষ্টিতে মদের গন্ধ নিয়ে অভিযোগ করেন রানু মন্ডল। ভিডিওটি ইউটিউবে পোস্ট করার পর ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনদের মতে, রানুদির মানসিক ভারসাম্যহীনতার জন্যই তিনি অসঙ্গতিমূলক কথাবার্তা বলেছেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button