Ranu Mandal: আবারও বেফাঁস মন্তব্য করে নেটনাগরিকদের কাছে কটাক্ষের শিকার রানু মন্ডল, ছিছিক্কার দিলেন সকলে

Advertisement

Advertisement

নেটমাধ্যমের সূত্র ধরেই মানুষের মাঝে সাময়িক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন রানু মন্ডল। স্টেশনে বসে গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন তিনি। এক স্বহৃদয় ব্যক্তি অতীন্দ্র চক্রবর্তীর দৌলতেই তিনি ভাইরাল হয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংখ্য নেটনাগরিকদের মধ্যে। এমনকি তার কথা পৌঁছে গিয়েছিল বলিউডের একাধিক তারকাদের কাছেও। বলিউডের গায়ক-কম্পোজার হিমেশ রেশমিয়ার তৈরি করা একটি গানে তিনি প্লেব্যাকও করেছিলেন ঐ সময়ে। তবে পরবর্তীকালে আত্মঅহংকারের জন্যই তিনি আবারও ফিরে এসেছেন তার পুরোনো জায়গাতে। বর্তমানে মানুষের কাছে কথায় কথায় হাসির খোরাক হন তিনি।

Advertisement

এই মুহূর্তে গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় রানু মন্ডল ট্রোল কনটেন্ট হয়ে উঠেছেন। কোনো না কোনো কারণে তিনি ট্রোল হন নেটিজেনদের মধ্যে। তিনি নিজের অদ্ভুত সাজগোজ ও কর্মকাণ্ডের জন্যই প্রতিদিন হাসির খোরাক হয়ে ওঠেন। নেটিজেনদের একাংশের দাবি তিনি ভারসাম্যহীন মানুষ। আবার অনেকের মতে, তিনি সত্যিই যদি ভারসাম্যহীন হতেন তাহলে এমন গান গাইতে পারতেন না। তার গলায় সুর রয়েছে কিন্তু উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে তিনি আজ এই অবস্থায় রয়েছেন। অনেকের মতে, এমন একজন অভাবী, দরিদ্র, ভারসাম্যহীন মানুষকে নিয়ে হাসাহাসি না করাই শ্রেয়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে নেটমাধ্যমে তাকে নিয়ে একাধিক খবর চোখে পড়ে।

Advertisement

Advertisement

সম্প্রতি আবারও বেফাঁস মন্তব্যের জন্য নেটিজেনদের মাঝে কটাক্ষের পাত্রী হলেন রানু মন্ডল। আবারও এক ইউটিউবার তার বাড়িতে গিয়েছিল তাকে নিয়ে ভিডিও বানানোর জন্য। সেখানেই সে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করে রানুদিকে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেন তিনি। আর তারপরেই নেটদুনিয়ায় তার সেই মন্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু হয়। রীতিমতো তাকে ছিছিক্কার দেয় নেটনাগরিকরা। কেউ কেউ বলেছেন এত কিছুর পরেও তার এতটুকুও শিক্ষা হয়নি। নিজের এই সমস্ত মন্তব্যের জন্যই আজ তার এই অবস্থা।

আসল কথা হল ঐ ইউটিউবার তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল তার গান রেডিওতে শোনা যায় না কেন? এর উত্তরে রানু মন্ডল তাকে জানায়, তার গান রাখার কিংবা বাজানোর যোগ্যতা রাখেনা রেডিওর চ্যানেলগুলি। আগেও রাখত না আর এখন তো রাখেই না। তিনি এই মন্তব্য করার পরেই নেটিজেনদের মাঝে কটাক্ষের শিকার হন তিনি। এমনকি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পাউরুটি গন্ধ শুঁকে ফেলে দিচ্ছেন তিনি। তার কথায়, তিনি এই সমস্ত পাউরুটি খেতে পারেন না। একসময় যিনি খেতে পেতেন না তার এত অহংকার ভালো নয়। খাবার নষ্ট করার নিয়েও ট্রোল হয়েছেন তিনি।