ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক প্রয়োজনীয় এবং প্রগতিশীল প্রকল্প প্রকাশ্যে এনেছেন। দরিদ্র সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি নিম্নবিত্ত সাধারণ নাগরিকদের অর্থনৈতিক প্রগতির জন্য নিয়ে এসেছেন একাধিক প্রকল্প, যা তাদের ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে ও স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছে। এই নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা ঋণ যোজনা নিয়ে আলোচনা করা হবে। উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের সূত্র ধরে সাধারণ নাগরিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেয়ে যেতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুদ্রা লোন স্কিম-
এক্ষেত্রে কেউ যদি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান! তবে তাদের জন্য তিনটি ধাপে ঋণ দেওয়া হবে এই প্রকল্পের সূত্র ধরে। প্রথমে এই প্রকল্পের সূত্র ধরে শিশু শ্রেণীর ঋণ মিলবে। পরে সমস্ত দিক পর্যবেক্ষণ করে কিশোর ও তরুণ শ্রেণীর ঋণ পাওয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে ঋণ অনুযায়ী সুদের হার ব্যাঙ্ক অর্থাৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারণ করা হবে। এই প্রকল্পের গ্রাহকদের ডেবিট কার্ডের মতো একটি মুদ্রা কার্ড প্রদান করা হবে, যার সাহায্যে তারা ঋণ নিতে পারবেন। উল্লেখ্য, এই মুদ্রা ঋণ নিতে আবেদন করতে হয় অনলাইনে।
১) শিশু ঋণের ক্ষেত্রে গ্রাহক ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন।
২) কিশোর ঋণের ক্ষেত্রে ৫০,০০০ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া সম্ভব। অবশ্য প্রয়োজনের দিক পর্যবেক্ষণ করে সেই পরিমাণ নির্ধারণ করবে নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানই।
৩) তরুণ ঋণের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রেও এই ঋণের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করে নির্ধারণ করবে নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
এই প্রকল্পের শেষ আপডেট-
এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত গ্রাহকদের এই ঋণ প্রদান করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৫১ শতাংশ এসসি, এসটি, ওবিসি বিভাগের অধীনে। কোনো বিলম্ব ছাড়াই এই প্রকল্পের সূত্র ধরে পিছিয়ে পড়া মানুষদের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। কিছুসময় আগে একটি নিবন্ধের সূত্র ধরে জানানো হয়েছিল কোন কোন জেলাগুলিতে এই প্রকল্পের প্রয়োজন রয়েছে! এই নিবন্ধের সূত্র ধরে যাতে মানুষের মাঝে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা যায়, সেইকথা মাথায় রেখেই ঋণ দিচ্ছে মোদি সরকার।
এই যোজনায় আবেদন করার পদ্ধতি-
১) এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে গ্রাহকদের নিকটস্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কিংবা mudra.org.in নামের ওয়েবসাইটে যেতে। এরপরই মিলবে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম।
২) বৈধ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, আধার নম্বরের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র সহযোগে জমা দিতে হবে আবেদনপত্র।
৩) আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পাশাপাশি কোম্পানির ঠিকানার প্রমাণপত্র, ব্যালেন্স শিট, আইটি রিটার্নের পাশাপাশি জমা দিতে হবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি। পাশাপাশি পাসপোর্ট সাইজের ছবিও প্রয়োজন।
৪) এরপর সমস্ত জমা দেওয়া নথিগুলি যাচাই করে দেখবে নির্দিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
৫) সমস্ত নথি যাচাই হয়ে যাওয়ার পরে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে প্রয়োজনীয় ঋণের অর্থ।
৬) গতবছরের তুলনায় এই বছর এই প্রকল্পে গ্রাহকের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।