আন্তর্জাতিকনিউজ

ফিলিপিন্সে ভয়াবহ ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা ২১, ঘর ছাড়া বহু মানুষ

Advertisement
Advertisement

ফিলিপিন্স প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ এর অংশ হিসাবে নিয়মিত কাঁপুনিতে ভুগছে ।এটি জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে প্রসারিত হওয়ায় তীব্র ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপ প্রায়শই আঘাত হানে ফিলিপিন্সে। সম্প্রতি অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ফিলিপাইনের মিন্ডানাও অঞ্চলের এক তৃতীয়াংশ।ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

Advertisement
Advertisement

সূত্রের খবর, ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে গত সপ্তাহে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৬.৬ এবং ৬.৫ মাত্রার পর পর দু দিনের ভূমিকম্পে মিন্ডানাও দ্বীপে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে দু জন নিখোঁজ থাকা অবস্থায় ৪৩২ জন আহত হয়েছে । বৃহস্পতিবার বড় ভূমিকম্পটি অনেক বাড়িঘর ধ্বংস করে এবং প্রায় কয়েক হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে। ১৬ ই অক্টোবর প্রথম ভূমিকম্পের ফলে সাতজন নিহত হওয়ার পর থেকেই অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করে সেখানে রয়েছেন প্রায় ২০,০০০ জনেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি।

Advertisement

আজ রবিবার ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ জানান যে, বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা এখন খাদ্য ও পানীয়ের জন্য লড়াই করছে। কিছু কিছু গ্রামবাসী রাজপথের নিকটে তাঁবুর নীচে অবস্থান করে গাড়িচালকদের কাছ থেকে সাহায্যের জন্য ভিক্ষা করছিলেন এবং তাদের কাছ কিছু খাওয়ার ও জলের জন্য প্রার্থনা করছে।

Advertisement
Advertisement

রবিবার উদ্ধারকর্মীরা যেসব পরিবারের বাড়িঘর ভূমিকম্পের ফলে বিপন্ন হয়ে পড়েছিল তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ অব্যহত রেখেছেন। পাহাড়ি গ্রামে আটকে পড়া কয়েকটি বাসিন্দার সুরক্ষার জন্য সেখানে বিমান পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পের ফলে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া বহু মানুষের উদ্ধারকার্যে এখনও নিয়োজিত আছেন উদ্ধারকারীরা। সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছ থেকে সহায়তা পৌঁচ্ছে দেওয়ার এবং রাস্তার পাশে ঘুমানো লোকদের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কেন্দ্রগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button