আন্তর্জাতিকনিউজ

পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উৎস, দাবি পাক সংখ্যালঘুদের

Advertisement
Advertisement

সদস্য রাষ্ট্রগুলিতে মানবাধিকার রক্ষিত হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশন চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। সম্প্রতি জেনিভায় শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৩ তম অধিবেশন। যেখানে পাকিস্থানের সংখ্যালঘুরা পাকিস্তানের প্রসঙ্গে বলে বিশ্বের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উৎস।  ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স পাকিস্তানকে জানিয়েছে আগামী জুন মাসের মধ্যে জঙ্গিদের অর্থসাহায্য বন্ধ না করলে তাদের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হবে। ২০১৮ সালের জুন মাসে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ। তখনই বলা হয়েছিল যে পাকিস্তানকে দেওয়া ২৭ টি শর্তের মধ্যে মাত্র ১৪ টি পূরণ করা হয়েছে।

Advertisement
Advertisement

শর্তপূরণের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও কিন্তু পাকিস্তান সামগ্রিকভাবে শর্ত পুরণে ব্যর্থ হয়েছে। লস্কর ই তৈবা, জইশ ই মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদ্দিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক জোগান বন্ধ করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য ধূসর তালিকায় রাখা হয় পাকিস্তানকে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ২৭ শর্তের বাকি শর্তগুলিও পুরণ করতে ব্যর্থ হলে এফএটিএফ তার সদস্য দেশগুলিকে অনুরোধ করবে, পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা বা আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে সতর্ক থাকে। এফ এ টি এফের ৩৯ সদস্য দেশের প্লেনারি বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তান ও ইরানের ভূমিকা প্রসঙ্গে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া ছাড়া বাকি দেশগুলি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তানকে ব্যর্থ বলেই দাবি করে।

Advertisement

আরও পড়ুন : দিল্লির হিংসার ঘটনায় মুখ খুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

Advertisement
Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৩ তম অধিবেশনে সংখ্যালঘুরা বিবৃতি দিয়ে বলেন ৯/১১-র পর থেকে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে আশপাশের দেশে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীরা সংগঠিত হয়ে হামলার ছক কষে এবং নিজেদের তহবিল ভরতে ব্যস্ত, সরকার তাদের দমনে কোনও ব্যবস্থা নেয় না।রাষ্ট্রপুঞ্জ তাদের দেশের সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক, জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করুক এই দাবী জানায় তারা। তারা বলে  ওয়াজিরিস্তানের উত্তরে আফগানিস্তানের সীমানা বরাবর এলাকায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীরা সক্রিয়। তাদের সঙ্গে আল কায়েদা ও তালিবানের যোগাযোগ আছে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button