রাজ্য

বর্বরতার চরমতম নিদর্শন, পরিবারের অত্যাচারে নাইটি পরেই ঘরছাড়া হলেন চাকদহের গৃহবধূ

Advertisement
Advertisement

কৌশিক পোল্ল্যে: আধুনিক কালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতা ও অত্যাচার যে পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি তার প্রমান আজও মেলে গ্রামেগঞ্জে কিংবা শহরেরই কোনো বহুতল ফ্ল্যাটে। বধূহত্যা ও সাংসারিক অত্যাচার কোনো নতুন ঘটনা নয়। বেশিরভাগ সময়ই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ভয় পান গৃহবধূরা, উপযুক্ত সাহস ও সম্বলের অভাবে।

Advertisement
Advertisement

আবারো এক নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এল চাকদহের কিশোর সংঘের নিকটে কাজিপাড়া নিবাসী এক গৃহবধূর নিমিত্তে। স্বামীর সঙ্গে মনমালিন্যের জেরে ঘরছাড়া হতে হয় তাকে। পরনের ঘরোয়া নাইটি পরেই বেরিয়ে আসতে হয় রাস্তায়। পাঁচ বছরের ছেলেকেও আটক করে রেখেছেন পরিবারের লোকজন। এমত অবস্থায় ক্রন্দনরত গৃহবধূ সুষমা সাহাকে শিয়ালদহ স্টেশনে দেখা যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন : আগামী ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন পাবে রাজ্যবাসী, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Advertisement
Advertisement

গৃহবধূর প্রতি অত্যাচারের সমস্ত কাহিনীর পর্দাফাঁস হয়। দীপশিখা কারকুন নামক জনৈক ভদ্রমহিলা পুরো ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ করেন। সুষমা কাঁদতে কাঁদতেই জানান তার স্বামী রঞ্জিত সাহা বিবাহ বহির্ভূত একটি অবৈধ সম্পর্ক রয়েছেন। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতেই সুষমাকে ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে তাল মেরে দেন তার স্বামী। সারা রাত তাকে ঘরের বাইরেই কাটাতে হয়।

তার শাশুড়ির অত্যাচারের নমুনাও নেহাত কম নয়। গৃহবধূর মাথায় দা দিয়ে আঘাত করতেও পিছপা হননি শাশুড়ি কনিকা সাহা। ঘটনার কুলকিনারা না করতে পেরেই শিয়ালদহে এসে পৌঁছান সুষমা। লাইভ ভিডিয়োতে বারেবারে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং তৎক্ষনাৎ সুষমার ছেলেকে উদ্ধার করে তার বাপেরবাড়ি দীঘায় পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। তবে একটা গভীর প্রশ্ন তো থেকেই যায়, এসব বর্বরতা ও অত্যাচারের কী কোনো শেষ নেই! কবে ঘটবে মানসিকতায় বদল? কী, ভাবছেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button