বলিউডবিনোদন

দীপিকা পাডুকোন রণবীর সিংয়ের সঙ্গে দাউদ? ফেসবুকে পুরোনো ছবি ভাইরাল নিয়ে বিভ্রান্তি

Advertisement
Advertisement

মুম্বাই : সুশান্ত সিং এর মৃত্যুর রহস্যের শিকড় যে কত গভীরে রয়েছে, তার আঁচ ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য মারফত। সিবিআইও শুরু করে দিয়েছে তাদের তদন্ত। প্রতিদিনই সিবিআই কি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে প্রকাশ হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। আবার এর মধ্যে কিছু কিছু তথ্য প্রমাণিত হচ্ছে ভুয়ো অথবা সত্য মিথ্যায় মেশা।

Advertisement
Advertisement

সুশান্তের মৃত্যু রহস্যের সঠিক তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় ধর উঠেছে Sushant Justice নামের একটি গ্রূপ। এবার সেই গ্রূপেই প্রকাশিত পুরোনো একটি ছবিকে নিয়ে নতুন করে দানা বাঁধল বিতর্ক।

Advertisement

ভাইরাল হওয়া ছবিতে অস্পষ্ট ভাবে একটি ছবিতে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন ও তাঁর স্বামী অভিনেতা রণবীর সিং এবং সুশান্তের বন্ধু চিত্র পরিচালক সন্দীপ সিংকে দুজন ভিন্ন লোকের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। তাঁরা একটি টেবিলকে ঘিরে বসে রয়েছেন, এবং টেবিলে ভর্তি বিভিন্ন খাবার। নেটিজেনরা দাবি করছেন এই আবছা মুখের দুই জনের একজন হলেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়া দাউদ ইব্রাহিম এবং অন্যজন অভিনেতা মহেশ শেঠী।

Advertisement
Advertisement

ফেসবুক পেজটিতে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা–‘দেখুন বন্ধুরা… দীপিকা, রণবীর, সন্দীপ আর মহেশ শেঠী যদি আমি ভুল না হই, রয়েছেন দাউদের সঙ্গে…’।

উল্লেখ্য, সুশান্তের মৃত্যুর পর মানসিক অসুস্থতা সংক্রান্ত ইঙ্গিত করে ট্রোল্ড হয়েছিলেন দীপিকা। আবার সঞ্জয় বনসলির একটি বক্তব্যে উঠে আসে বাজিরাও মস্তানী বা রামলীলাতে সুশান্তের পরিবর্তে শেষ মুহূর্তে সুযোগ পান রণবীর। অন্যদিকে সুশান্তকে নিয়ে বেসুরো মন্তব্য করে নেটিজেনদের রোষের মুখে সন্দীপ সিংও। এই তিনজনের ভাইরাল ছবিটি ইতিমধ্যেই তোলপাড় করে তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে গ্রূপটির দাবি মত কি সত্যিই কি অস্পষ্ট মুখের ওই ব্যক্তি দাউদ?

একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের ‘এন্টি ফেক নিউজ ওয়ার রুম’ এর বিশ্লেষণ দাবি করেছে ওই ব্যক্তি দাউদ নন, বরং প্রোডাকশন ডিজাইনার ওয়াসিক খান। মাধ্যমটি এও বলে যে এই ছবিতে মহেশ শেঠীও উপস্থিত নেই।

যদিও এই বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়ালি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়া সুশান্ত সংক্রান্ত বহু মূল্যবান তথ্য প্রকাশ করলেও বহুক্ষেত্রে অনেক অসত্য বা অর্ধসত্য তথ্যও এই মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে পড়ছে, যা সুশান্ত মৃত্যু মামলাকে অযথা জটিল করে তুলছে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button