নিউজপলিটিক্সরাজ্য

” ৫ মাস পরে যা করবেন তা করছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বক্তব্য কৈলাসের, পালটা জবাব দিলেন নুসরাত এবং শশী পাঁজা

মুখ্যমন্ত্রীর পাঁচমিশালি তরকারি রান্নাকে কটাক্ষ বিজয়বর্গীয়ের (kailash Vijaybargiya)

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি বোলপুর সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হঠাৎ হ্যালিপ্যাডের দিকে যাওয়ার সময় চায়ের দোকানে দাড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে পাঁচমিশলি তরকারি ও বানাতে দেখা গিয়েছে তাকে। এইদিন সেই ছবি শেয়ার করে কটাক্ষ করেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় (kailash Vijaybargiya)। তিনি বলেন,”যে কাজ দিদিকে ৫ মাস পরে করতে হবে, তা তিনি এখনই করতে শুরু করে দিয়েছেন।” সেই বিষয় নিয়ে এইবার শুরু হয়েছে বিতর্ক। এটি মুখ্যমন্ত্রীর অপমান, গোটা নারীজাতির অপমান। এই বিষয়ে চলছিল আলোচনা সমালোচনা। কৈলাশের এই কটাক্ষের তীব্র সমালোচনা করলেন শশী পাঁজা এবং নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan)।

Advertisement
Advertisement

Advertisement

গত বছর বাড়িতে কালীপুজোর সময় খুন্তি হাতে খিচুড়ি রাঁধতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বুধবার আবার খুন্তি হাতে নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইদিন বোলপুর থেকে ফেরার রাস্তায় স্থানীয় বল্লভপুরভাঙা গ্রামে এক চায়ের দোকানে গিয়ে দোকানির কাছে জানেন কি রান্না হচ্ছে। এর পরেই তাকে দেখা গিয়েছে খুন্তি নাড়াতে। চায়ের দোকানের এই মহিলার সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানতে চান স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড পেয়েছেন কিনা।

Advertisement
Advertisement

বোলপুরের রাজনৈতিক কর্মসূচি সেরে এইদিন ফিরে আসার পথে গ্রামবাসীর সাথে মিশে যেতে দেখা গেল জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বল্লভপুর ডাঙা গ্রামের শেষে প্রান্তে থাকা হ্যালিপ্যাডের দিকে যাওয়ার সময় আচমকা গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন তিনি। হাতের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেয়ে নানা অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। গ্রামে রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা, রাস্তাও বেহাল। সেই কথাও জানান তারা। পাশে ছিলেন জেলার শাসকও। ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর পরেই তিনি গ্রামবাসীদের সাথে হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যান। এগিয়ে যান গ্রামের মোড়ের দিকে। সেখানে পাশাপাশি দুটি চায়ের দোকান। একটি বাবু বাগদি ও মেনকা বাগদির। আর একটি চন্দনা বাগদির। প্রথমে মেনকার দোকানে ঢুকে পড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো। আলু, বরবটি দিয়ে পাঁচমিশালি একটি তরকারি রান্না হচ্ছিল তখন। মেনকার কাছে সে কথা জেনে খুন্তি হাতে নিয়ে রান্না করতে শুরু করেন দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দোকান ঘিরে তখন প্রায় গোটা গ্রামের ভিড়। খুন্তি নাড়তে নাড়তে বাবু এবং মেনকা বাগদির সাথে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

শেষ লাইনে কৈলাসকে তীব্র আক্রমণ করে শশী লিখেছেন, আবার নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করার আগে সেই চা-ওয়ালার কথা মনে করবেন, যিনি এখন আপনাদের বসও!

Advertisement

Related Articles

Back to top button