নিউজপলিটিক্সরাজ্য

এ রাজ্যে থাকতে লাগবেনা কোনও সার্টিফিকেট, বক্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোর

×
Advertisement

মেদিনীপুর, বর্ধমানের পর এইবার উত্তর ২৪ পরগণা। ভিড় হয়েছিল ভালোই। গোপালনগরের সভায় ভোল্টেজ হাই। কেমন হবে তৃণমূল সুপ্রিমোর সভা, তাই নিয়ে চলছিল জল্পনা। আজ বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে এইদিন উত্তেজনায় উত্তপ্ত হতে দেখা গেল গোপালনগরকে। মতুয়াদের যায়গাতে সিএএ এর বাণে বিধতে দেখা গেল তৃণমূল দলনেত্রীকে। তার মুখে শোনা গেল বহিরাগত তথ্য।

Advertisements
Advertisement

তৃণমূল নেতৃ এই দিন গোপালনগরে বলেন,” আমরা এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না। আমি নিজের আমার মায়ের জন্মদিন জানিনা। বাকিরা কি করে বলবেন। ওরা বাংলাকে গুজরাট বানাবে। আমরা তা হতে দেবনা। আপনারা হতে দেবেন না। মতুয়ারা এই দেশের মানুষ, এখানকার নাগরিক। তাদের এই রাজ্যে থাকতে নতুন করে কোনও কিছুর প্রয়োজন নেই।”

Advertisements

এইদিন দলনেত্রী কটাক্ষ করেছেন ভোটপ্রচারের জন্য আসা বিজেপির পর্যবেক্ষকদেরও। তিনি বলেন,”এরা সব বহিরাগত, বাংলার লোক না। পয়সার লোভ দেখিয়ে ভোট নেবে। আর তা না হলে ভয় দেখাচ্ছে। রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করার তো ক্ষমতা নেই।”

Advertisements
Advertisement

এছাড়া এইদিন তিনি আরও বলেন,”মতুয়া উন্নয়নের জন্য বোর্ড তৈরি হয়েছে। বাগদি বাউরিদের জন্য কাজ করছে রাজ্য সরকার। এসসি এসটি দের জন্য শংসা পত্রের কাজ অনেকটা সহজ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা কাজ করছি হরিচাদ-গুরুচাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরেও।”

গোপালনগরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”ছিন্নমূল মানুষদের কখনও রাখতে নেই । বাগদি বাউরিদের জন্য কাজ করছে রাজ্য সরকার। কোনও সার্টিফিকেট লাগবেনা। আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, আমি বলছি যে কোনও শংসাপত্র লাগবেনা।”

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রে দাপট দেখা যায়নি রাজ্যের শাসক শিবিরের। কিন্তু গত বছর বহু অসন্তোষ দেখা গিয়েছে মতুয়াদের মধ্যে সিএএ এবং নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই টনিক যে কাজ করবে সেই বিষয়ে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী ঘাসফুল শিবির।

Related Articles

Back to top button