দেশনিউজ

কিমির পর কিমি পায়ে হেঁটেই ফিরলেন বাড়িতে, খাদ্যের মধ্যে ছিল জল আর বিস্কুট!

×
Advertisement

করোনার প্রকোপে লক ডাউন গোটা দেশ। সম্পুর্নরূপে বন্ধ যান চলাচল পরিষেবা। জনশূন্য রাস্তাঘাট, রাস্তায় যেকটি গাড়ি চোখে পড়ে তাও হাতে গোনা। লক ডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত অফিস, কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত। আর এর মাঝেই সমস্যায় পড়েছেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা। এরকমই এক চিত্র ফের সামনে এল। জানা গিয়েছে, আফসার, নওয়াজিস, নুর আলম, শোয়েব, মোত্তাক্কিন, মুসফিকুর সহ মোট আট জন শ্রমিক দুর্গাপুরের রাহুডাঙ্গা অঞ্চলের সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট তৈরির কারখানায় কাজ করতেন।

Advertisements
Advertisement

কিন্তু লক ডাউনের জেরে বন্ধ কারখানা। এদিকে পকেটে পয়সাও প্রায় শেষের পথে। তাঁরা যে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন সেই বাড়ির মালিকও ঘর ছাড়তে বলেন। বাড়ি ভাড়া মিটাতে না পারায় মালিক বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আর এরপরেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন হাতে টাকাপয়সা শেষ হয়ে যাওয়ার ফলে আর বাড়ি থেকে এতো দুরে বসে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু কাছে পয়সা না থাকায় উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার কাছে মানসচৌপথি এলাকার বাসিন্দা ওই আট জন সাইকেলও কিনতে পারেননি বাড়ি ফেরার জন্য।

Advertisements

শেষমেশ সিদ্ধান্ত ঠিক হয় পায়ে হেঁটেই তাঁরা পৌনে চারশো কিমি পথ পেরিয়ে নিজেদের বাড়িতে পৌঁছবেন। এরপর কিমির পর কিমি পথ হেঁটে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। মাঝে রাস্তায় গুগল ম্যাপেও দেখে নেন আর কতো রাস্তা বাকি। ক্ষিদের জ্বালা মিটাতে জল বিস্কুট খেয়েই কিমির পর কিমি পথ হাঁটেন তাঁরা। রাস্তায় চলতে চলথে চোখ বুজে এলেও হাঁটা থামাননি। এভাবেই যে যার নিজের গ্রামের পথে ফিরে যান। তবে আবার কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন কিনা তা তাঁদের জানা নেই।

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button