“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল ভাবছেন কবে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করবেন”, কটাক্ষ অমিত শাহের

Advertisement

Advertisement

মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের থেকে পদ্ম পতাকা হতে তুলে নিতেই অবসান হবে যাবতীয় জল্পনার। আর এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রীতিমত হুঙ্কারের সাথে এইদিন শাহ বলেছেন,”ভোট আসতে না আসতেই আপনি শুধু একা তৃণমূলে থাকবেন।” এখানেই তিনি থামেননি। এইদিন তিনি বলেন,”বাংলায় নেই কোনও উন্নয়ন। বাংলার যুবদের ভাবনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবেন না। তিনি কেবল ভাবছেন তার ভাইপোকে কবে মুখ্যমন্ত্রী করবেন।”

Advertisement

সভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের মতো একের পর এক বাক্যবাণ ছুঁড়লেন অমিত শাহ। তার বক্তব্য,”এক সময় তৃণমূলের কর্মীরা মা মাটি মানুষ স্লোগান দিতেন। কিন্তু দিদি এখন সেই স্লোগানকে ভাইপোবাদের স্লোগান, তোলাবাজির স্লোগান করে দিয়েছেন। আমপানের টাকা আপনার দলের লোকেরা খেয়ে নিয়েছে। এখন হাইকোর্ট নির্দেশ দিচ্ছে সেই টাকায় দুর্নীতি করা হয়েছে নাকি, খতিয়ে দেখতে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমফানের বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে দেওয়া হয়েছে রায়। সেই রায়ে বলা হয়েছে যে সিএজি কে দিয়ে করানো হবে তদন্ত। ১০ হাজার কোটি টাকার জন্য হবে তদন্ত।

Advertisement

শাহের এই সভায় আজ ছিল যোগদানের হিড়িক। দল বদলের হিসেব দিয়ে এইদিন অমিত শাহ বলেন,”আজ ১ জন সাংসদ , ৯ জন বিধায়ক এবং ১ জন প্রাক্তন মন্ত্রী, একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, ১৫ জন কাউন্সিলার , ৪৫ জন চেয়ার ম্যান ও ২ জন পঞ্চায়েত জেলা সভাপতি যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।” এইদিন গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারীও। অবশেষে অবসান ঘটেছে তাকে নিয়ে তৈরি জল্পনার। এইদিন শুভেন্দু প্রথমে প্রণাম করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তারপর যোগদান করেন বিজেপি শিবিরে।

তার সাথে যোগদান করেছে ১০ জন শুভেন্দু অনুগামী নেতা। এইদিন কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় হাতে তুলে নিয়েছেন পদ্ম পতাকা। এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৬ জন নেতাও এইদিন যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। ধস নেমে আসে জোড়াফুল শিবিরে। এইবার দেখার বিষয় তবে কি সত্যিই ভেঙে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস? এমনটাই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মনে।

Recent Posts