‘তেরি মেরি কাহানি’ গান গেয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হলেন রানু মণ্ডলের মা, দেখুন ভিডিও

Advertisement

Advertisement

রানাঘাটের রাণু মন্ডল স্টেশনে গান গেয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। এবার রাণু মন্ডলের ‘মা’ সবাইকে গেয়ে শোনালেন রাণুর গাওয়া ‘তেরি মেরি কাহানি’।  প্রকৃতপক্ষে, এই বৈষ্ণবী ভদ্রমহিলা রাণু মন্ডলের গর্ভধারিণী মা নন। কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে তিনি অবিকল রাণুর মতোই দেখতে। এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় মজা করে ভদ্রমহিলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাণু মন্ডলের মা’। আপাতত এই নামেই তিনি ভাইরাল হয়ে চলেছেন নেট দুনিয়ায়।

Advertisement

গায়িকা রাণু মন্ডল  কিছুদিন আগেই বিখ্যাত গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর ডিজিটাল কনসার্টে রূপঙ্করের সঙ্গে গান গেয়েছেন।  নরেন্দ্রপুরে গানঘর স্টুডিওতে ছিল রূপঙ্করের  ডিজিটাল কনসার্টের শুটিং।  সেখানেই রাণু আশা ভোঁসলে ও লতা মঙ্গেশকরের কিছু গান গেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই রূপঙ্করের সামনে একটু নার্ভাস ছিলেন রাণু।  কিন্তু রূপঙ্কর রাণুকে যথেষ্ট উৎসাহ দেন গান গাওয়ার জন্য।  ফলে কিছুটা হলেও রাণুর আড়ষ্টতা কেটে যায়।

Advertisement

সম্প্রতি রাণু মন্ডলের ‘মেন্টর’ অতীন্দ্র একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিওতে রাণু মন্ডলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, পরিচালক ধীরাজ মিশ্রের  প্রথম রোম্যান্টিক ফিল্ম ‘সীতামগর’ এবং ভারতের স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে তৈরী ফিল্ম ‘সরোজিনী’-র কিছু গান গাইবেন রাণু মন্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।  নেটিজেনরা অনেকেই রাণু মন্ডলকে  কটাক্ষ করে মানসিক রোগী বলেছেন।  আবার অনেকেই অতীন্দ্রকে বলেছেন, লকডাউনের সময় রাণু মন্ডল যখন খেতে পাচ্ছিলেন না, তখন কোথায় ছিলেন অতীন্দ্র। তবে অতীন্দ্র এই প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।

Advertisement

লকডাউনের সময়  আর্থিক কষ্টের সম্মুখীন হতে হয় রাণু মন্ডলকে।  কিন্তু তা সত্ত্বেও রাণু এলাকার গরীব মানুষদের জন্য নিজের চেষ্টায় কিছু ত্রাণের ব্যবস্থা করেছিলেন।  নিজে না খেতে পেলেও অন্যের সেবায় ব্রতী হওয়া রাণুর এই রূপ সেদিন বহু মানুষের কাছে প্রশংসনীয় হয়েছিল।  রাণু সেইসময় নিজে প্রায় প্রতিদিনই চিঁড়ে-মুড়ি  খেয়ে কাটাতেন।  রাণুর অভাবের কথা জানতে পেরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁর জন্য কিছু আর্থিক সহায়তা ও খাবারের ব্যবস্থা করেন।

রানাঘাট স্টেশনে বসে ‘এক পেয়ার কা নাগমা’য় গেয়ে ভাইরাল হওয়া রাণু মন্ডলকে বলিউডে প্লে ব্যাকের  সুযোগ দিয়েছিলেন মিউজিক ডিরেক্টর হিমেশ রেশমিয়া।  হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছিলেন রাণু। তাঁর গাওয়া ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানটি যথেষ্ট বিখ্যাত হয়েছিল।  এরপর রাণু বহু স্টেজ শোয়ের অফার পেতে শুরু করেন।  কিন্তু রাণু দর্শকদের সঙ্গে এবং তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন।  একসময় মিডিয়ার সামনেও খারাপ আচরণ করেন রাণু। ফলে তাঁর প্রতি ইন্ডাস্ট্রির বৈরিতা তৈরি হয়।  পরবর্তীকালে লকডাউনের সময় স্বাভাবিকভাবেই কর্মহীন হয়ে পড়েন রাণু।