লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই একাধিক সমস্যাও শুরু হয়েছে। কাল গোটা দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পর আজ দেশজুড়ে লকডাউনের প্রথম দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে লকডাউনের জেরে যে সব সমস্যা দেখা দিচ্ছে তার সমাধানে পরামর্শ দেওয়া ছাড়াও এই অবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা জানালেন। নির্দেশ দিলেন একাধিক পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন আতঙ্কিত হয়ে কিছু মানুষ জিনিস মজুত করছেন, যার একেবারেই প্রয়োজন নেই, কারন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান থাকবে । হাউজিং সোস্যাইটির আবাসিকরা যাতে প্রবীণদের দেখভালের জন্য এগিয়ে গিয়ে দায়িত্বপালন করেন তার জন্যও অনুরোধও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সবচেয়ে জরুরি সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং।
জরুরি পরিষেবা আটকানো থেকে শুরু করে চিকিৎসক নার্স বা বিমান সংস্থার কর্মীদের হেনস্থার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশের উদ্দেশ্যে জানান অকারণে যাতে জরুরি পরিষেবাকে না আটকে হয়। সবজি বিক্রেতা থেকে হোম ডেলিভারি বয় ইত্যাদি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের আটকানো যাবে না। তবে জমায়েত যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
শুধু পুলিশের পদস্থ কর্তারাই নয় পাশাপাশি জেলাশাসক, BDO-দেরও ভূমিকা নিতে এগিয়ে আসতে হবে।
দিনকয়েক আগে বাড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স বা বিমান সংস্থার কর্মীদের হেনস্থার ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িওয়ালাদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান এই ধরনের অভিযোগ যেন আর শুনতে না পান তিনি। হোম ডেলিভারির অসুবিধা দূর করতে সংস্থাগুলি লালবাজার বা পুলিশের থেকে পাস বানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।