Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

টার্গেট ২০২৪, আর ছুটির মেজাজে থাকা যাবে না! কর্মীদের কড়া নির্দেশ মমতার

লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্যান্য রাজ্যে সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করতে উঠে পড়ে লেগেছে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস

Advertisement
Advertisement

এবার লক্ষ্য ২০২৪, তাই এবারে একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে শুরু করবে তৃণমূল। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি কে পরাজিত করা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য। তাই এবারে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্যান্য রাজ্যতে ও নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে হবে, সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যেই এগোতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবারের বিধায়ক, সাংসদ, নেতা, মন্ত্রী এবং কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতার বার্তা, এবারে আর ছুটির মেজাজে থাকা চলবে না।

Advertisement
Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে রেকর্ড জয় লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জয় নিয়ে এবারের অন্যান্য রাজ্যে ও সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোন সরকারি প্রকল্প কারা পাচ্ছে না, কেন পাচ্ছে না, সামাজিক কোন সমস্যা আছে কিনা সমস্ত কিছু নিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের। বিজেপি যখন যখন কোনো রাজনৈতিক সমস্যা করবে তখন সেই ইস্যু নিয়েও প্রচার করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও দুয়ারে প্রকল্প যেন দুয়ারে গিয়ে পৌঁছায়, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। অন্যদিকে পার্টি অফিসে গিয়ে প্রত্যেকদিন সবকিছু নিয়ে বৈঠক করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সাথে সাথেই দলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে পার্টি রস্টার তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল।

Advertisement

অন্যদিকে আবার বিধানসভা নির্বাচনের পরে এক নেতা এক পদ নীতি চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়ে দিয়েছেন একজন শুধুমাত্র একটি পদ গ্রহণ করতে পারবেন একাধিক পদে তিনি থাকতে পারবেন না। ২০১৯ নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করে নেতা-নেত্রীদের পরামর্শ দিয়ে দিয়েছিলেন তারা যেন পার্টি অফিসে গিয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত হন। শুধু তাই নয়, সাংস্কৃতিক ছাত্র নেতৃত্বকেও নিয়মিত পার্টি অফিসে এসে দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement
Advertisement

এছাড়াও যুবমহিলা নেতৃত্বকে পার্টি অফিসে নিয়মিত এসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিটি নেতৃত্বকে জড়িত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে নিয়েছেন মমতা। কিছুদিন আগেই রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, পার্টি অফিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা তাই পার্টি অফিসে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে যেকোনো কর্মীদের। এছাড়াও আগামী দিনে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শুখেন্দু শেখর রায়। টার্গেট আগামী লোকসভা নির্বাচন, এই কারণে ইতিমধ্যেই বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরা, মনিপুর এবং আসামে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisement

Related Articles

Back to top button