নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“দার্জিলিং, তরাই, ডুয়ার্স বাংলার গর্ব”, উত্তরবঙ্গ সফরে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বক্তৃতা মমতার, সাথে করলেন চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘোষণা

Advertisement
Advertisement

একুশের নির্বাচনের আগে ভোট প্রস্তুতিপর্ব তুঙ্গে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির। এরইমধ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার দুই জেলা নিয়ে জলপাইগুড়িতে একটি রাজনৈতিক সভা করছেন। আর সেই রাজনৈতিক সভা থেকেই তিনি একাধিক ইস্যু নিয়ে গলায় সুর তুলেছেন। ভোটের আগে লড়াইয়ের এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে যে তিনি নারাজ তা তার বক্তৃতা দেখলেই স্পষ্ট হয়।

Advertisement
Advertisement

আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে সভাতে একাধিক বিষয় নিয়ে বিজেপি সরকার ও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “কেন্দ্র সরকার এমন কাজ করছে যাতে বেকারের সংখ্যা দেশজুড়ে ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিকরা মুম্বাই থেকে দিল্লি পায়ে হেঁটে এসেছে। একটা পয়সাও তাদের কেন্দ্র সরকার দিয়ে সাহায্য করেনি। আর এদিকে শুধু উন্নয়ন করবো উন্নয়ন করবো বলে প্রচার করে।” এছাড়াও তিনি কেন্দ্র সরকারের এনআরসি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেছেন, “আলিপুরদুয়ার নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও উদ্বাস্তু কলোনি আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে। তারপর বিজেপিকে আর এনআরসি নিয়ে গাট্টা দিতে হবে না। এই এনপিআর খায় না মাথায় দেয়।”

Advertisement

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিয়ে বলেছেন, “বিজেপি সবচেয়ে বড় ডাকাত, চম্বলের বড় ডাকাত ওরা। ওরা এখন বাংলায় নতুন ধর্ম আনতে চাইছে। আর সেটা হল দাঙ্গা ধর্ম।” তিনি পুরনো কথা মনে করিয়ে দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন বিজেপি বলেছিল, “তারা জিতলে ৭ টা চা বাগান খুলে দেবে উত্তরবঙ্গে। কিন্তু সেটা কি আদৌ কিছু হয়েছে।” সেই সাথে তিনি চা সুন্দরী প্রকল্পের উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন এই প্রকল্প অনুযায়ী, “চা বাগানে গৃহহীন শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প দেয়া হবে। এই প্রকল্প মারফত উত্তরবঙ্গের মোট ৩৭০ টি চা বাগানের শ্রমিক যাদের পাকা বাড়ি নেই তারা পাকা বাড়ি পাবেন মাত্র তিন বছরের মধ্যে।”

Advertisement
Advertisement

এছাড়াও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমল গুরুং প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। তিনি বলেছেন, “বিজেপি বিমল গুরুং কে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৬ বছরের মধ্যে গোর্খাল্যান্ড তাদের দিয়ে দেবে। কিন্তু আমি সেই প্রতিশ্রুতি দেয়নি তাই আমি আগেরবার উত্তরবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারিনি। তবে এখন বিমল গুরুং বুঝতে পারছে ওরা আসলে ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসে। তবে আমি খুশি ওরা ভুল বুঝলেও এখন আমাকে বুঝতে পেরেছে। দার্জিলিংয়ের সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারি। দার্জিলিং, তরাই, ডুয়ার্স আমাদের বাংলার গর্ব।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button