অর্থমন্ত্রীর পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট পেশ, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড, ‘দুয়ারের সরকার’ প্রকল্প নিয়ে নতুন ঘোষণা

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: ভোটমুখী রাজ্যে অন্তবর্তী বাজেটে (Interim Budget 2021) কল্পতরু হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar), ‘স্বাস্থ্য়সাথী’ কার্ড (Swastha Sathi Card) নিয়ে নতুন ঘোষণা করলেন তিনি। এবার থেকে বছরে দু’বার চলবে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প।

Advertisement

এদিন অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,রাজ্য়ের ১ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য় সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। আগামী দিনে এইসব প্রকল্প রাজ্য়বাসীর কাছে একটা নজির হয়ে থাকবে। বছরে দু-বার পাড়ায় পাড়ায় সমাধান  ও দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবে। একবার অগস্ট- সেপ্টেম্বর ও আরেকবার ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে হবে এই প্রকল্পের কাজ ।শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এ বিষয়ে বাজেটে ব্যয় বরাদ্দও করা হয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীর কথায়,আগামী দিনে রাজ্য়বাসীর কাছে এই প্রকল্পগুলি একটা নজির হয়ে থাকবে।

Advertisement

এদিন অন্তর্বর্তী বাজেটে জুনের পরেও বিনামূল্য়ে রেশন দেওয়ার কথা ঘোযণা করেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন,২০২১ সালের জুন মাসের পরেও বিনামূল্য়ে রেশন ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। স্বাস্থ্য়সাথী কার্ডের জন্য় দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রতি তিন বছর পর এই স্বাস্থ্য়সাথী কার্ড রিনিউ হবে। রাজ্য়ে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে নতুন করে ৬০ লক্ষ পরিবার নতুন করে স্বাস্থ্য়সাথী কার্ড পেয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য় সরকার। এই স্বাস্থ্য় প্রকল্পের মাধ্য়মে ৫ লক্ষ টাকা চিকিৎসার খরচ বাবদ পাওয়ার কথা রাজ্য়বাসীর। কিন্তু দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য়সাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা দিতে মানা করে বেসরকারি হাসপাতাল। সেক্ষেত্র তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়ার আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।

Advertisement

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বাজেট ঘোষণা খুব একটা মসৃণ হয়নি। এদিন মুখ্য়মন্ত্রী বাজেট পড়তে শুরু করলেই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বার বার বলেও বসানো যায়নি তাদের। বিরক্ত হয়ে নিজেই বাজেট পড়া শুরু করেও বসে পড়েন মুখ্য়মন্ত্রী। শেষে বিধায়কদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন  বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও শান্ত করা যায়নি পরিস্থিতি। এক সময় বিজেপি বিধায়কদের এই বিক্ষোভের নিন্দা করেন স্পিকার। বিমানবাবু বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলতে উঠলে এই ধরনের হইচইয়ের মুখে পড়তে হয় না তাঁকে। বিধায়কদের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মর্যাদার কথা মনে করান স্পিকার।

পরে এ প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমি নিজেই ৫টা রেল বাজেট পেশ করেছি। বাজেটের সময়ে কেউ কোনও কথা বলে না। কিন্তু আমি জানি না, বিজেপির এই সদস্যরা কিছু জানেন কি না । প্রোটোকল অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষেত্রে বাজেট পেশ সাধারণত অর্থমন্ত্রীরাই করে থাকেন। যদিও পরিষদীয় মন্ত্রী এই কাজ করতে পারেন। এবার একেবারে নজিরবিহীন ভাবে সেই দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নেন মুখ্য়মন্ত্রী। বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ হওয়ায় এবার বাজেট পেশ করতে পারবেন না। তাই তাঁর বদলে বাজেট পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Recent Posts