ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

মাহিন্দ্রা মোটরস নিয়ে এলো একদম নতুন সিএনজি ট্রাক্টর, প্রতি ঘন্টায় হবে ১০০ টাকা লাভ

সাধারণ ডিজেল চালিত ট্রাক্টর এর থেকে অনেকটা বেশি সাশ্রয়ী হবে এই সিএনজি চালিত ট্রাক্টর

Advertisement
Advertisement

ভারতের শীর্ষ ট্রাক্টর নির্মাতা কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি হলো মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরস। এবারে এই কোম্পানিটি তার প্রথম সিএনজি মনো-ফুয়েল ট্র্যাক্টর তাদের ইউভো ট্র্যাক্টর প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করে দিয়েছে। এই ট্র্যাক্টরটিকে লঞ্চ করা একটি অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রের সবুজ বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। এই ট্র্যাক্টরটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে নাগপুরে অনুষ্ঠিত এগ্রোভিশনে, যেটিকে মধ্য ভারতের সবথেকে বড় কৃষি সম্মেলন হিসাবে বিবেচিত হয়। এই সম্মেলনে দেশব্যাপী কৃষক, কৃষি বিশেষজ্ঞ এবং নীতি নির্মাতারা একসাথে একত্রিত হয়েছিলেন। আর সেই সম্মেলনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সামনে আত্মপ্রকাশ করেছে এই নতুন ট্র্যাক্টর।

Advertisement
Advertisement

নিতিন গডকড়ির সামনে আত্মপ্রকাশ

Advertisement

চার দিনের এই সম্মেলনের প্রথম দিনে ভারত সরকারের সড়ক পরিবহন, এবং মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গডকড়ির সামনে আত্মপ্রকাশ করেছিল এই ট্রাক্টর। গডকড়ি এই অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে, সিএনজি ট্র্যাক্টর ব্যবহার করলে কৃষকদের ডিজেলের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সাশ্রয় হবে। তিনি আরও বলেন, এই ট্র্যাক্টর পরিবেশ দূষণ কমাতেও সাহায্য করবে। ফলে সবদিকে থেকেও এই ট্র্যাক্টর আমাদের জন্য ভালো হতে চলেছে।

Advertisement
Advertisement

মাহিন্দ্রা রিসার্চ ভ্যালিতে তৈরি ট্র্যাক্টর

মহিন্দ্রা ট্রাক্টরস বলেছে যে, সিএনজি যানবাহন উন্নয়নের পূর্ণ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এই ট্র্যাক্টর তৈরি করেছে মাহিন্দ্রা। এই সিএনজি ট্র্যাক্টর নির্গমনের দিক থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত, কর্মক্ষমতা এবং অপারেটিং খরচটাও অন্যান্য অনেক ট্র্যাক্টরের থেকে অনেকটাই কম। চেন্নাইতে অবস্থিত মাহিন্দ্রা রিসার্চ ভ্যালিতে এই ট্র্যাক্টর তৈরি এবং টেস্ট করা হয়েছে।

৭০% পর্যন্ত কম হবে নির্গমন

মহিন্দ্রার দাবি হল, সিএনজি ট্র্যাক্টর তার ডিজেল সমকক্ষের তুলনায় প্রায় ৭০% কম নির্গমন করে থাকে। এমনিতেই ডিজেল পোড়া ধোঁয়ার থেকে CNG এর নির্গমন দক্ষতা অনেকটাই ভালো। তবে, এই ট্র্যাক্টরে একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এই নির্গমন কমানোর জন্য। তবে নির্গমন কম হচ্ছে বলে যে কর্মদক্ষতা কম সে রকম কিন্তু নয়। ডিজেল ইঞ্জিনে যেরকম কর্মদক্ষতা আপনি পেয়ে থাকেন সিএনজি ইঞ্জিনেও সেরকম কর্মদক্ষতা পাওয়া যাবে। এটি কম ইঞ্জিন কম্পন তৈরি করে যা শব্দ স্তর কমাতেও সাহায্য করে। এই ট্রাক্টর আপনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। শুধুমাত্র কৃষি ক্ষেত্রে নয়, অকৃষি ক্ষেত্রেও এই ট্রাক্টর এর কর্মদক্ষতা রয়েছে।

প্রতি ঘন্টায় হবে ১০০ টাকা সাশ্রয়

সিএনজি ট্র্যাক্টর বর্তমান ডিজেল ট্র্যাক্টরের ক্ষমতাগুলির সাথে মিল রেখে বিভিন্ন কৃষি এবং লোডিংয়ের কাজগুলোকে সহজেই পরিচালনা করতে পারে। মাহিন্দ্রার সিএনজি ট্র্যাক্টরে চারটি ট্যাঙ্ক রয়েছে যার প্রতিটিতে ৪৫ লিটার জলের ক্ষমতা রয়েছে, এখানে ২৪ কেজি গ্যাস ভরা যায় একসাথে। অর্থাৎ একবার যদি গ্যাস ভরা হয় তাহলে অনেকটা কাজ একসাথে করা যাবে। পাশাপাশি, যেহেতু এটি সিএনজিতে চলছে তাই প্রতি ঘন্টায় ১০০ টাকা কম খরচ হবে সাধারণ ডিজেল ট্রাক্টর এর থেকে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, যদি এই ট্রাক্টর জনপ্রিয় হতে পারে কৃষকদের মাঝে, তাহলে ভারতীয় কৃষি ক্ষেত্রের জন্য এটা একটা গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হবে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button