রাজ্য

লকডাউনে সন্ন্যাসীর অভাবে বাজনা ছাড়াই হচ্ছে নিয়মরক্ষার ‘গাজন’

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া : চৈত্র মাস নীল পুজো, বানপাঠ। কেউ কেউ ১৫ দিন আগে, কেউ বা ৫ দিন আগে, কেউ আবার তিন দিন আগে থেকেই মহাদেবের আরাধনায় নেমে পড়েন সন্ন্যাসী রূপে গলায় রুদ্রাক্ষ মালা হাতে বেতের লাঠি পরনে গেরুয়া বস্ত্র পড়ে। প্রায় কয়েক শতক বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। আচমকাই হঠাৎ কি যেন হয়ে গেল! পাল্টে গেল সব নিয়ম রীতি, বন্ধ হয়ে গেল সারা বিশ্ব তথা ইতিহাস সৃষ্টি করা ভারতবর্ষের গ্রামীন উৎসব।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু কেন? ছোট্ট একটা মারন ভাইরাস করোনা স্তব্ধ করে দিল সারা বিশ্বকে, এখনো মেলেনি তার কোন সুরাহা। বন্ধ হয়ে গেল রাস্তাঘাট, বন্ধ হয়ে গেল কল কারখানা। বন্ধ হয়ে গেল পুজোর উৎসব, সবেবরাত, গুড ফ্রাইডের মতো উৎসব। তৈরি হল দূরত্ব, চৈত্র মাস পড়তেই মাঝামাঝিতে নীল চড়ক পূজার প্রস্তুতি থাকে তুঙ্গে এবছর যেন সব কোথায় হারিয়ে গেল। পাড়ার মা বোনেদের আনন্দের সাথে ভীতির কাজ করতো গা ছমছম কি হয় কি হয় এই বুঝি হল সন্ন্যাসীরা উদয় এ বছর কোথায় যেন হারিয়ে গেল সবকিছুই সারা বিশ্বের উৎসবের মুহূর্তগুলো যেন কেড়েনিল এই মারণ রোগ করোনাভাইরাস।

Advertisement

কাঁটা খেলা, নষ্টচন্দ্রের রাত, বড়শি ফোটানো, শিব দুর্গা পার্বতী সেজে সকলকে মনোরঞ্জন করা, সবটাই এ বছরের মতো ইতিহাস হয়ে থাকলো, মনের স্মৃতিকোটায়।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button