Today Trending Newsকলকাতানিউজরাজ্য

জনতা কার্ফুর জের, তিলোত্তমার জনশূন্যতা স্মরণীয় থাকবে ইতিহাসের পাতায়

Advertisement
Advertisement

করোনা আক্রমণ রোধ করতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েছে গোটা দেশ। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জনতা কার্ফু। সারাদেশ আজ গৃহবন্ধী। জনহীন রাস্তাঘাট, বন্ধ দোকানপাট, নেই বাস-ট্যাক্সির ভিড়। শুনশান গোটা দেশ। শুনশান কলকাতাও। সরকারি বাস ছাড়া দেখা নেই অন্য কোন ও যানবাহনের। লোকাল ট্রেন অল্প চললেও দেখা নেই জনতার, ফাঁকা ট্রেনের কামরা। এ যেন এক অচেনা শহর। ব্যস্ততার লেশমাত্র নেই গোটা কলকাতাতে। তিলোত্তমা আজ পুরো একা, জনহীন। তবে তিলোত্তমার এইরূপ কিন্তু স্মরণীয় হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতায়।

Advertisement
Advertisement

Advertisement

কলকাতার উল্টোডাঙার বাগমারী বাজারে দু-একটা দোকান খুললেও দেখা নেই ক্রেতার। উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতার সব বাজার কার্যত স্তব্দ। দেখা মিলছে না ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। রবিবারের বাজার জনশূন্য, নেই মাছের দোকানিদের হাঁক। বাজারে জনতা কার্ফুর চাপ স্পষ্ট। মানুষ প্রধানমন্ত্রীর আবেদনকে পালন করছেন। এই কঠিন পরিস্থিতির কবল থেকে মুক্ত হতে চাইছে গোটা দেশ সহ সারা পৃথিবী।

Advertisement
Advertisement

আরও পড়ুন : সকাল থেকেই ফাঁকা স্টেশন চত্বর, জনতা কার্ফুর জেরে স্তব্ধ রেল পরিষেবা

প্রধানমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার এই জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন। আজ ১৪ ঘন্টা চলবে এই কার্ফু। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে সামাজিক দূরত্ব তৈরী করার জন্যই এবং মানুষের ভালোর জন্যই এই জনতা কার্ফু ডাকা হয়েছে। যার জন্য কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং কচ্ছ থেকে কোহিমা পুরোটাই কার্যত গৃহবন্দী। ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদক্ষেপ আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ” সতর্ক থাকুন, আতঙ্কিত হবেন না। বাড়িতে থাকুন। শুধু বাড়িতে নয়, আপনি যে শহরে আছেন এখন সেখানেই থাকুন। অন্য কোথাও সফর করলে তা আপনার সাথে অন্যদের ও সমস্যা সৃষ্টি করবে। তাই সতর্ক থেকে প্রতিটা পদক্ষেপ ফেলুন।” তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে যেভাবে সংক্রমন ছড়াচ্ছে তাতে সংক্রমণ বন্ধ করাটাই সরকারের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর তার জন্য গোটা দেশকে ‘লকডাউন’ করা চারটা কোনও উপায় নেই। আর সেক্ষেত্রে মানুষের সহযোগিতা ও সচেতনতা একান্ত কাম্য।

Advertisement

Related Articles

Back to top button