নিউজদেশ

এটিএমে আটকে গেল টাকা বা ডেবিট কার্ড, এই উপায়ে ক্ষতিপূরণ আদায় করুন ব্যাঙ্ক থেকে

এটিএম থেকে টাকা তোলা সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় ব্যাংক সমাধান না করতে পারলে তাদের প্রতিদিন ১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হয়

Advertisement
Advertisement

অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আসে যখন এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় মেশিনের মধ্যে আটকে যায় আপনার ডেবিট কার্ড। কখনো কোন কারনে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে অথবা বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে গেলে মেশিনের মধ্যেই আটকে যায় ডেবিট কার্ড। এছাড়াও যদি পরপর তিনবার ভুল পিন দিয়ে ফেলেন, তাহলেও মেশিনে কার আটকে যেতে পারে। মেশিনের ভিতরে কার্ড আটকে গেলে অনেকেই সমস্যার মধ্যে পড়ে থাকেন। অনেকে ভাবেন কার্ড টানাটানি করলে হয়তো সেই কার্ড মেশিন থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম নয়।

Advertisement
Advertisement

মেশিনের ভিতরে যদি কার্ড কোন ভাবে আটকে যায় তাহলে বিনা কারণে টানাটানি করবেন না। তাতে কোন লাভ হবে না। বরং স্ক্রিনে দেওয়া ক্যান্সেল বিকল্পটি বেছে নিন। ক্যানসেল বিকল্পটি বেছে নিলে সেই লেনদেন বাতিল হয়ে যায় এবং তাতে কার্ড বেরিয়ে আসতে পারে। তবে এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে স্থানীয় ব্রাঞ্চ এবং ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার নম্বরে ফোন করুন। কিয়োস্কে ওই নম্বর দেওয়া থাকে। তার পাশাপাশি অনেক সময় এমন হয় যখন এটিএম থেকে টাকা বের করলে মেশিনের মুখেই তা আটকে যায়। সেই টাকা টানলে ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ক্ষেত্রে আরো একবার টাকা তোলার চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে আপনি ১০০ টাকা তুলুন। তাহলে আটকে থাকা টাকা আপনি পেয়ে যাবেন। না হলে কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে ফোন করে দেখতে পারেন।

Advertisement

এছাড়া অনেক সময় এটিএম থেকে টাকা না বের হলেও অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে লেনদেনের স্লিপ যত্ন সহকারে রেখে দিন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিকটবর্তী ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করুন সেই স্লিপ নিয়ে। কিন্তু অনেক সময় মেশিন থেকে স্লিপ বের হয় না, সেক্ষেত্রে আপনি কি করবেন? এটিএম থেকে স্লিপ যদি না বেরোয় তাহলে ব্যাংকে গিয়ে স্টেটমেন্ট চেয়ে নিতে পারেন। এরপর সেই স্টেটমেন্ট সহকারে লিখিত অভিযোগ জমা দিন। এই অভিযোগ জমা দেওয়ার সাত দিনের মধ্যে ব্যাংক কাজ শুরু করবে এবং ব্যবস্থা নিয়ে শীঘ্রই আপনার ব্যাংক একাউন্টে আপনার টাকা ক্রেডিট করবে। RBI এর নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক এই কাজ না করলে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে ব্যাংককে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button