Cyclone Yaas: কলকাতার কোন অঞ্চল দিয়ে কত গতিবেগে যাবে ঘূর্ণিঝড় যশ, জেনে নিন
করোনা পরিস্থিতির মাঝেই বঙ্গবাসীর মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে যশ ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বৃদ্ধি। গতকাল গভীর নিম্নচাপ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে যশ। এখন এই ঘূর্ণিঝড় দীঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থান করছে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। হিসাবমত আগামী ২৬ মে ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড় যশের। এটি বুধবার সন্ধ্যেবেলাতেই পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে। তবে এখন একটাই প্রশ্ন যে আম্ফানের মত কি এই ঘূর্ণিঝড় কলকাতা শহরে তার আস্ফালন দেখাবে?
আবহবিদরা জানিয়েছে যে কলকাতা এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলে ২৬ মে দুপুর থেকেই যশের দাপট অনুভূত হবে। গোটা শহরজুড়ে ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। তিলোত্তমার কান ঘেঁষে এই ঘূর্ণিঝড় গেলেও বেশ প্রভাব দেখাবে বলে কোন সন্দেহ নেই। ঘূর্ণিঝড়টি কলকাতার ডানদিক দিয়ে এগিয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার পর এর গতি বেগ বাড়তে পারে। কলকাতা শহরে বিপদের কথা মাথায় রেখে আগাম সতর্ক হচ্ছে প্রশাসন। তাদের প্রধান চিন্তার বিষয় কলকাতার পুরনো বাড়ি। গোটা শহর জুড়ে মোট ১৭০০ টি অতি পুরনো বাড়ি রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১০০ টি বিপদজনক অবস্থায় আছে।
অন্যদিকে প্রশাসন আগে থাকতেই আমফানের বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে, কলকাতা পুলিশের তরফে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে যারা এই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলা করবে। এছাড়া কলকাতা পুরসভা, এনডিআরএফ, সিএসসি, বিএসএনএল ইত্যাদি আধিকারিকরা যেকোনো রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। শহরজুড়ে হোডিং, পোস্টার ও বিলবোর্ড সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেটে দেওয়া হচ্ছে বিপদজনক গাছ। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ২০ টি দল গঠন করা হয়েছে। শহরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য ২৫০ কর্মীকে প্রস্তুত রাখছে সিএসসি।