নিউজপলিটিক্সরাজ্য

একুশে নির্বাচনের আগে মতুয়াপ্রীতি বাড়াতে ঠাকুরনগরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বৈঠক করলেন শান্তনু ঠাকুরের সাথে

Advertisement
Advertisement

একুশে নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি ভোটজয়ের উদ্দেশ্যে পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছে। কোন রাজনৈতিক দল অন্য রাজনৈতিক দলকে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে কথা বলতে চায় না। বাংলা গেরুয়া শিবির এবার মমতার সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে বাঁকুড়ার মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন করার মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাত ধরতে চেয়েছিল। এরপর দুদিন আগে আবার তৃণমূল জনোনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া অঞ্চলে গিয়ে জনসভা করেছিলেন। কিন্তু এবার গেরুয়া শিবির দিল মাস্টারস্ট্রোক! বিজেপির বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আজ ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে শান্তনু ঠাকুরের সাথে বৈঠক করতে গেলেন।

Advertisement
Advertisement

আজ সকালে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতা তথা বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঠাকুরনগরে শান্তনু ঠাকুর এর সাথে বৈঠক করতে যান। বৈঠকের আগে তিনি হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখানে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন শান্তনু ঠাকুর, সুব্রত ঠাকুর মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। ঠাকুরবাড়িতে সাথে বৈঠক করছেন কৈলাস বাবু। বৈঠক শুরুর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, এই বৈঠক শুধুমাত্র শিষ্টাচারের জন্য। ঠাকুর পরিবারের সাথে দেখা করতে এসেছেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

তিনি এদিন আরও জানিয়েছেন, “শান্তনু ঠাকুর এর সাথে বাংলা বিজেপির কোন সমস্যা নেই। তাদের মধ্যে যোগাযোগ সব সময় থাকে।” তিনি আরো জানিয়েছেন, “শান্তনু ঠাকুর তাদেরই একজন কর্মকর্তা। তার সাথে বাংলা গেরুয়া শিবিরের কোন দূরত্ব নেই। বিরোধী পক্ষ অশান্তি ছড়ানোর জন্য এই সব মিথ্যা খবর ছড়াচ্ছে।”

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে তিনি নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বলেছেন, “নাগরিকত্ব নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলার কোন বাধ্যকতা নেই আমাদের। রাজ্য সরকার সহযোগিতা করুক না করুক দুই ক্ষেত্রেই নাগরিকত্ব আইন লাগু হয়েই থাকবে। আর পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি লাগু হাওয়ার কথা বলা হয়নি। এখানে শুধুমাত্র সিএএ লাগু হবে।” সেই সাথে তিনি বলেছেন, “মতুয়ারা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কি ভাবছে তা শান্তনু ঠাকুর বলতে পারবেন। আমি জানি না। তবে তিনি এদিন শান্তনু ঠাকুর এর সাথে তার সখ্যতার জোর দাবি করেছেন। এছাড়াও তিনি দাবি জানিয়েছেন, মতুয়া সমাজকে বিজেপি যা দিয়েছে এখন এখনো অব্দি আর অন্য কোন দল দিতে পারেনি।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button