নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘অসহিষ্ণুতার আরেকনাম মমতা’, রাজ্যে নেমেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে তোপ জেপি নড্ডার

Advertisement
Advertisement

অসহিষ্ণুতার আরেকনাম মমতা। বুধবার কলকাতায় পৌঁছে প্রথম ভাষণে তৃণমূল ভাষণে এমনটাই বলতে শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে। এইদিন কলকাতার বিজেপি নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন,”কার্যালয় থেকেই শুরু করা হবে মমতা সরকারকে উপড়ে ফেলার পরিকল্পনা।”

Advertisement
Advertisement

এইদিন বক্তব্যের শুরুতে নড্ডা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি উক্তি স্মরণ করেন। তার পর তিনি বলেন, উনি আমাদের পাঠ শিখিয়েছেন শৃঙ্খলার সাথে সহিষ্ণুতার। এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমোকে আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি । তিনি বলেন,”অসহিষ্ণুতার আরেক নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক দৃষ্টিতে মতের আদান প্রদানেই প্রধান প্রজাতন্ত্রের সৌন্দর্য। সেই দিক থেকে মতের আদান প্রদানের দিক থেকে বিখ্যাত বাংলা। এখানে রয়েছে বিশ্বভারতী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম এখানে। তিনি যে বাবে সমাজকে পথ দেখিয়েছিলেন সেই বিষয়ে আমরা সকলে জানি। অন্যদিকে গোটা বিশ্বকে রাস্তা দেখিয়েছেন শ্রী অরবিন্দ। কিন্তু আজ এখানে অসহিষ্ণুতার বাস। কি করে এখানে অসহিষ্ণুতা বাড়ে আমি দেখছি।”

Advertisement

অসহিষ্ণুতার উদাহরণ দিত দিতে নড্ডা বলেন,”লকডাউনে যখন আমাদের কর্মীরা সকলে জনসেবায় নিযুক্ত ছিলেন , তখনও তাদের বাধা দিতে শুরু করেছিলেন মমতা জি। তিনি কোনও চেষ্টাই বাদ দেননি। দিলীপ দাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওনাকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। সুভাষ সরকারকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। সাংসদের বাড়ির সামনে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল অর্জুন সিং, জন বারলা, দেবশ্রী চৌধুরী, সুকান্ত মজুমদার, জয়ন্ত রায়, নীশিথ প্রামাণিককেও। তার পরেও এরা উৎসাহ দিয়েছেন কর্মীদের। বণ্টন করেছেন ১ কোটি ৬ লক্ষ খাবারের প্যাকেট।”

Advertisement
Advertisement

এই দিন কেবল কলকাতার প্রধান কার্যালয় নয়। নড্ডা উদ্বোধন করেছেন আরও ৯টি কার্যালয়। কার্যালয়ে থাকবে ই-লাইব্রেরি, এটিও জানিয়েছেন নড্ডা নিজে। ছোট বড় বৈঠকের জন্য থাকবে আলাদা কনফারেন্স রুম। থাকবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থাও।

Advertisement

Related Articles

Back to top button