আন্তর্জাতিকনিউজ

তবে কি তৈরি হয়ে গেল করোনার ভ্যাকসিন? গবেষকরা জানাচ্ছেন আশার কথা

Advertisement
Advertisement

নোভেল করোনা ভাইরাসের জেরে জেরবার গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই অনেক দেশই এই মারন ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানব শরীরে লড়াই করার জন্য ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টা করছে। তবে এবার করোনার থেকে পরিত্রাণ পেতে আশা দেখাচ্ছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট কোম্পানি অ্যাসট্রাজেনেকা। গবেষকরা জানিয়েছেন, আগামী ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে একটি ভ্যাকসিনের সফলতা সম্বন্ধে ধারনা পাওয়া যাবে।

Advertisement
Advertisement

বিশ্ববিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি করা ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত প্রস্তুতির পথে এই ব্রিটিশ কোম্পানি অ্যাসট্রাজেনেকা। অ্যাসট্রাজেনেকা কোম্পানি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাসের চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯ নামের ভ্যাকসিনটির আবিষ্কর্তার সঙ্গে চুক্তি করে। অ্যাসট্রাজেনেকার প্রধান প্যাসক্যাল সোরিওট জানিয়েছেন, করোনার ভ্যাকসিনটি নিয়ে যে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে তা যদি সফল হয় তবে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ভ্যাকসিনটি ২০০ কোটিরও বেশি ডোজ তৈরি করতে শুরু করেছে অ্যাসট্রাজেনেকা।

Advertisement

তবে ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের ফলাফল পাওয়া যাবে আগামী জুলাইতে। গত সপ্তাহে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গাভি ও সিইপিআই-এর সঙ্গে চুক্তি করে। এর কারন হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানি জানিয়েছে, যে ২০০ কোটি ডোজের ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে তার উৎপাদন যাতে আরও দুই গুন বেশি বৃদ্ধি পায় তাই এই চুক্তি। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চূড়ান্ত ফল পাওয়ার পর বিশ্বের নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে তা দ্রুত সরবরাহের বন্দোবস্ত করা হবে।

Advertisement
Advertisement

ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনটি ১০ হাজার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হয়। এরপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফ থেকে জানান হয়, প্রয়োগে কোনোরকম খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বরং ভালোই ফল মিলেছে। এরপর এই ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা করা হবে ব্রাজিলে। এবং তা শুরু হবে জুনের মাঝামাঝি সময়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button