অফবিট

VIRAL: এই মহিলা তার গোঁফ রাখে, লোকেরা তাকে ঠাট্টা করে, কিন্তু তিনি কাটে না, এই কারণ

Advertisement
Advertisement

ছোট থেকে বড় হওয়ার সময় অর্থাৎ কৈশরে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে তাদের শরীরে নানাধরনের শারীরিক পরিবর্তন আসতে থাকে। আর সেইসময় হরমোনের কম-বেশি ক্ষরণের জন্য নানা সমস্যা দেখা দেয় সেই নির্দিষ্ট কিশোর কিংবা কিশোরীর শরীরে। বিশেষ করে কিশোরীদের হরমোন ক্ষরণের সমস্যার জন্য অনেকসময় ছেলেদের মতো দাড়ি গোঁফ বেরোতে দেখা যায়। তবে এই ধরনের সমস্যা হলে সমাজে বাকিদের মাঝে অনেক ক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট কিশোরীকে হাসির খোরাক হয়ে উঠতে হয় যা একেবারেই সুখকর হয় না তাদের কাছে। তবে সম্প্রতি এমন এক মহিলার কথা জানা গিয়েছে যিনি গোঁফ রাখতে পছন্দ করেন এমনকি গোঁফ কেটে ফেলার কথা তিনি ভাবতেও পারেন না। তার মতে এটাই তার সৌন্দর্যের অন্যতম মাপকাঠি।

Advertisement
Advertisement

কেরালা রাজ্যের কান্নুরের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী সায়জা। ছোট থেকেই তিনি লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। আর তার হরমোনের সমস্যার জন্য তার গোঁফের কারণে বন্ধু কিংবা আশেপাশের মানুষদের কাছ থেকে থেকেই নানা কথা শুনতে হতো তাকে। সায়জা একটা সময় বাড়ি থেকে বেরোতেন না। নানা সময় বিভিন্ন লোকের কটাক্ষ জনক মন্তব্য তাকে আঘাত করত। তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি নিজের গোঁফ নিয়ে রীতিমত গর্ববোধ করেন। আর এর জন্য নিজের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও সমর্থন পান তিনি।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি জানা গিয়েছে, সায়জা নিজের গোঁফ কেটে ফেলার কথা ভাবতেই পারেন না। নিজের গোঁফকে নিজের সৌন্দর্যের অন্যতম মাপকাঠি হিসেবে ধরেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, একটা সময় তার একাধিক সার্জারি হয়েছে। সেইসময় তিনি ভাবতেন এটাই হয়তো তার শেষ সার্জারি। তবে সেটা না হওয়ায় সেই থেকেই তিনি কিছুটা মনের জোর পেয়েছিলেন। তখন থেকেই তার মনে হয়েছিল নিজের জীবনটা নিজের পছন্দমত, নিজের মতন করে বাঁচার অধিকার তার রয়েছে। দেখেই তিনি গোঁফ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

অন্যদিকে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে কিছুটা স্বাধীনতা পেয়েছিলেন তিনি। তার স্বামী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাকি কাজ তাকেই করতে হতো। আর সেই কাজ করতে করতেই তিনি নিজের পছন্দমতো চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি লোকের কথায় কান দেওয়া বন্ধ করে দেন। তার যেকটি ছবি নজরে এসেছে সবকটিতেই গোঁফ রয়েছে তার। আগে তিনি নিয়ম করে গোঁফ কেটে ফেললেও পরবর্তীকালে তা বন্ধ করে দেন তিনি। তার মেয়েদের এবং স্বামীর মতেও এই রূপে তাকে বেশ ভালোই মানায়। নিজেকে নিজের মতন করে মেনে নেওয়াটাও একটা শিল্প। সায়জা সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছে সকলের কাছে। নিজের এই সিদ্ধান্তের জন্যই এই মুহূর্তে গোটা নেটদুনিয়ায় চর্চার কারণ হয়ে উঠেছেন তিনি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button