দেশনিউজ

বিরল মহাজাগতিক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী ভারতবর্ষ, কীভাবে সূর্যকে ঢাকবে চাঁদ, দেখুন সেই ভিডিও

Advertisement
Advertisement

আজ একুশে জুন। বছরের সবচেয়ে বৃহত্তম দিন। আজকেই ঘটছে সূর্যগ্রহণ। বিষয়টা কাকতালীয় হলেও অসাধারণ। ২০২০ নানান রকম প্রাকৃতিক ঘটনায় আমাদেরকে ভরিয়ে দিয়েছে। বেশিরভাগ সময়ই তা আমাদের জীবনে ক্ষতি ডেকে এনেছে। এই সূর্যগ্রহণ কেও অনেকেই ক্ষতি হওয়ার আরেকটি দিক বলছেন। কেউ কেউ বলছেন পৃথিবী আজই ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে বিষয়টি একদমই ঠিক নয় ব্যাপারটা পুরোটাই কুসংস্কার। অন্তত বিজ্ঞান তাই বলছে। সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ কে নিয়ে নানা কুসংস্কার মানুষের মধ্যে রয়েছে। এই সময় রান্না করা উচিত নয়, এ সময় খাবার খাওয়া উচিত নয়, সূর্য গ্রহণ চলাকালীন গর্ভবতী মহিলাদের ঘরের বাইরে যাওয়া উচিত নয় তাতে নাকি গর্ভস্থ শিশুর ঠোঁট, নাক কাটা হয়ে জন্মাতে পারে, এই সময় না কি পরিবেশে কিছু ক্ষতিকারক জীবাণু হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। আর এখন পরিবেশের জীবাণু মানেই মানুষের মাথায় একটা জিনিসই কাজ করে তা হলো করোনা ভাইরাস। কিন্তু বৈজ্ঞানিকরা বলছেন এই সমস্ত মিথ্যে। তাই কোন রকম কুসংস্কার নয়, নিজের জীবদ্দশায় এমন একটি ঘটনার যখন সাক্ষী থাকছেন সেটিকে একেবারে প্রাণভরে উপভোগ করুন।

Advertisement
Advertisement

বিষয়টি কোনরকম কাকতালীয় ঘটনা নয়। আমরা প্রত্যেকে জানি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে পৃথিবী। আর পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে চাঁদ। প্রদক্ষিণ করতে করতে যখন সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী একই সরলরেখায় আসে, চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে থাকে, ঠিক সেই সময় চাঁদের ছায়া পড়ে সূর্যের উপর। কিছু সময়ের জন্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে প্রবেশ করতে পারে না। এই ঘটনাটিকেই বলা হয় সূর্য গ্রহণ। চাঁদের আকার সূর্য থেকে অনেকটাই ছোট তাই সূর্যকে পুরোটা ঢাকতে পারে না চাঁদ, তার ফলেই পাশে তৈরি হয় একটা আগুনের তৈরি গোলাকার রিং। যাকে বলা হয় রিং অফ ফায়ার।

Advertisement

এক অসাধারণ মহাজাগতিক দৃশ্য। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে সূর্য গ্রহণ। ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যেই বর্ষার কালো মেঘ এসে বাধ সাধলেও জনগণ এই করোনার আবহাওয়া এই মহাজাগতিক দৃশ্য কে দেখার জন্য উৎসাহিত হয়ে ছাদে, বারান্দায়, বাগানে বেরিয়ে পড়েছেন। তবে, খালি চোখে কখনোই দেখবেন না, এটি কোন কুসংস্কার নয়। আমরা যতই আধুনিক যুগে বাস করি, যতই আধুনিক আদব কায়দা রপ্ত করি মনের মধ্যে কিন্তু ও কুসংস্কার গুলি থেকেই গেছে। তবে এখন সময় এসেছে মন থেকে কুসংস্কার দূর করে, এই প্রাকৃতিক ঘটনাগুলিকে উপলব্ধি এবং উপভোগ করার। কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে দেখবেন এই অসাধারণ ঘটনার সাক্ষী হতে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না।

Advertisement
Advertisement

Advertisement

Related Articles

Back to top button