জ্যোতিষ

তুলসী দেবীর বেদীতে এই চিহ্ন আখলে আপনার ওপর কৃপা থাকবে মা লক্ষীর

Advertisement
Advertisement

তুলসী দেবীর স্থান আমাদের হিন্দু ধর্মে খুব সন্মানের ও আদরের। প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতে তুলসী গাছ থাকা প্রয়োজন। রোজ স্নান করে তুলসী গাছে জল দেওয়ার রীতি আমাদের হিন্দু ধর্ম গ্রন্থে উল্লেখিত আছে। তুলসী কে অনেকে মা লক্ষীর অবতার হিসেবে বলে। তাই রোজ দেবী তুলসীর আরাধনা করলে আপনার ভাগ্য খুলে যায়।

Advertisement
Advertisement

তুলসী দেবীকে সকলেই খুব শুভ মনে করে পূজা করে। জ্যোতিষশাস্ত্র হোক বা বাস্তু, উভয় স্থানেই অনেক উপকারের কথা বলা হয়েছে এই পূজাকে ঘিরে। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে তুলসী যেমন পূজার উপযোগী, তেমনি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন তুলসী পূজার সাথে জল নিবেদন করলে ঘরে শুভ শক্তির সূচনা হয়। সুখ-সমৃদ্ধির দুয়ার খুলে যায়। তুলসী যে স্থান বা পাত্রে লাগানো হয় সেখানে কিছু চিহ্ন আখলে মানুষের খারাপ ভাগ্যে বদলে যায়।

Advertisement

১) ভাগ্যচক্র:-
তুলসীকে সকল উদ্ভিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তি বাড়িতে একটি তুলসী গাছ লাগান এবং প্রতিদিন পুজো করেন, তার বাড়িতে দেবী লক্ষ্মী অধিষ্ঠান করেন। সকালে তুলসী পূজা করার পর পাত্রে এই চিহ্ন তৈরি করলে বৈভব লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। একজন মানুষের ভাগ্য রাতারাতি বদলে যায়।

Advertisement
Advertisement

২) বৈভব চক্র

তুলসীর পাত্রে যদি এই চক্রের চিহ্ন তৈরি করা হয়, তাহলে আপনি আর্থিকভাবে আশীর্বাদ পেতে শুরু করবেন। এটি মানুষের জীবনে আসা সমস্ত ঝামেলা দূর করে। ঘরে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চালিত হয় এবং মনকে শান্ত রাখে।

৩) স্বস্তিকা:-
তুলসী গাছে স্বস্তিকের প্রতীক তৈরি করলে আপনি দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান। এটি একটি বিশ্বাস যে একটি পাত্রে স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করলে, মা লক্ষ্মীর সাথে ভগবান বিষ্ণুও প্রসন্ন হন এবং মানুষের ঘরকে সুখ ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ করেন।

৪) শঙ্খ:-
যে কোনো পুজোয় শঙ্খের ব্যবহার অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, যে বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যায় শঙ্খের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়, সেই বাড়িতে কখনও নেতিবাচকতা থাকতে পারে না। তুলসীর খুব প্রিয় শঙ্খের চিহ্ন। এমন অবস্থায় তুলসীর পাত্রে শঙ্খের চিহ্ন তৈরি করলে জীবনের সকল বাধা দূর হয়। ভগবান বিষ্ণুরও আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়, জীবন সুখময় হবে ও সুস্থ থাকবেন আপনি।

এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা জরুরী যে ভারত বার্তা যে কোনো ধরনের বিশ্বাস, তথ্যকে সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button