আজকাল বাড়ির বাইরে বের হলেই আমাদের প্রদুষণের কবলে পড়তে হয়। কিন্তু কাজের সূত্রে রোজ আমাদের এর সাথে মোকাবিলা করতেই হয়। এর পাশাপাশি ঘুমের ক্ষতি, তৈলাক্ত খাবার রোজ আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে সকলকে ব্রণের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। আজ আমরা সহজে কি করে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা বলতে এসেছি।
উপরে বলা কারণ এবং অন্যান্য অনেক কারণে কপাল, মুখে ব্রণ হতে পারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার যত্ন না নেওয়া, হরমোনের পরিবর্তন বা মানসিক চাপ নেওয়ার মতো কারণের জন্যেও ব্রণের সমস্যা হয়। এই ব্রণগুলি ত্বকের উপরের স্তরের ঠিক নীচে থাকে যা ব্লক হয়ে যায় এবং উত্থিত দেখায়। এগুলি মুখের সৌন্দর্য কেড়ে নেয়, যার কারণে মানুষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলি থেকে মুক্তি পেতে চায় তবে তারা কোনও কার্যকর উপায় সহজে খুঁজে পায় না।
আসুন আমরা আজ আপনাদের এমন কিছু উপকারী, ঘরোয়া প্রতিকারের কথা বলি, যেগুলো ঠাকুরমার সময় মনে বহু যুগ ধরে প্রচলিত বাংলা বাড়িতে। এমন সব ঘরোয়া সমাধান যা অনেক আগে থেকে চলে আসছে এবং আমাদের এই ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে খুব কার্যকরী। আসুন এক নজরে দেখে নিন ও নিজের ওপর এপ্লাই করে এর সুফল উপভোগ করুন।
১) অ্যালোভেরার জেল নিয়ে অল্প গরম জলে মিশিয়ে মুখে ম্যাসেজ করে লাগালে ব্রণের থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
২) একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে ব্রণের অংশে লাগান, এর ফলে কয়েক দিনে ব্রন উধাও হবে।
৩) কয়েক ফোঁটা লেবুর রস সরাসরি মুখের ব্রণে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এতে কিছুটা জ্বালাপোড়া হবে, তবে মুখের এই জেদী ব্রন থেকে মুক্তি পাবেন শীগ্রই।
৪) রাতে ঘুমানোর আগে এক টুকরো তরমুজ কেটে এর রস চিপে এটি কপালে, মুখে ঘষুন ও রাতের জন্যে রেখে দিন। এবং পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ব্রণও দূর হবে এবং ত্বকও হয়ে উঠবে খুব মসৃণ ও কোমল।
৫) একটি বাটিতে সমপরিমাণ বেসন ও বাদাম গুঁড়া নিন, এক চিমটি হলুদ নিন এবং পরিমাণ মত জল যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখে, ধুয়ে ফেলুন। ফুসকুড়ি, ব্রন সব কমে যাবে। এর সাথে পুরনো ব্রণের দাগও উবে যাবে মুখ থেকে।
৬) আলেওভেরা জেল যে উপকারী তা আগেই বলা হয়েছে। তবে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে এতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে মুখে লাগালে ফুসকুড়ি বা ব্রণের সমস্যা কমে যায়। এইটি মুখে ১৫-২০ মিনিট রাখার পর মুখ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। মুখ থেকে ব্রন চলে না যাওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতে এটি ব্যবহার করুন।
৭) সপ্তাহে একবার প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া স্ক্রাবের সাহায্যে মুখ এক্সফোলিয়েট করুন। আপনিও কফি, চিনি ও মধু মিশিয়ে অথবা চালের গুরো, হলুদ ও নারকোল তেল মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করে বাড়িতেই আপনার মুখ নিয়মিত স্ক্রাব করতে পারেন। অন্তত সপ্তাহে একবার মুখ স্ক্রাব করলে মর চামড়া, জন্যে থাকা ময়লা ও তেল পরিষ্কার হয়ে যায়। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বারে, পূরণে দাগ ছোপ কমে ও নতুন করে ব্রন হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
এই তথ্যের যথার্থতা, সময়োপযোগীতা এবং সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটা ভারত বার্তার নৈতিক দায়িত্ব নয়। দয়া করে কোনো প্রতিকার চেষ্টা করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার জন্য অনুরোধ করছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আপনাকে তথ্য প্রদান করা।