নিউজদেশ

করোনার নতুন স্ট্রেন থেকে বাঁচতে আবার নিতে হবে ভ্যাকসিন? জানিয়ে দিলেন AIIMS এর প্রাক্তন ডিরেক্টর

করোনা ভাইরাসের এই নতুন ভেরিয়েন্ট এখন ভারতে বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে

Advertisement
Advertisement

ভারতে এলো নতুন করোনা ভাইরাস। কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1 দেশে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে। কেরলে এই নতুন করোণা ভেরিয়ান্টের সংক্রমনের খবর পাওয়া গেলেও, সারাদেশেই এই বিষয়টা নিয়ে বর্তমানে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, JN.1 ভ্যারিয়েন্টটি আগের Omicron ভ্যারিয়েন্টের মতোই সংক্রামক। তবে, এটি আরও গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। কোভিড-১৯-এর নতুন স্ট্রেন JN1 মানব শরীরে ভয়ংকর কোনও ক্ষতি করছে না বলে জানা গেছে। তবে এই স্ট্রেনটি যথেষ্ট সংক্রামক এবং দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটিই ধীরে ধীরে ভারতে ‘প্রভাবশালী’ ভাইরাসে পরিণত হতে চলেছে।

Advertisement
Advertisement

AIIMS-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া জানান, JN1 স্ট্রেনে আক্রান্তদের সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, নাক থেকে জল পড়া এবং গায়ে, হাতে-পায়ে অস্বস্তি হয়। এই উপসর্গগুলি অন্যান্য কোভিড-১৯ স্ট্রেনের মতোই।

Advertisement

ডা. গুলেরিয়ার মতে, JN1 স্ট্রেনটি ওমিক্রনের একটি সাব ভ্যারিয়ান্ট। ওমিক্রন ঠেকাতে যে ভ্যাকসিনগুলি নেওয়া হচ্ছে সেগুলিতেই JN1 স্ট্রেনটিকে ঠেকানো সম্ভব। তবে বর্তমানে ভারতীয়দের মধ্যে কতটা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে তা যাচাই করে দেখা দরকার। পুরনো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে কতটা প্রতিরোধক ক্ষমতা দেশবাসীর হয়েছে তাও দেখে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। তবেই বোঝা সম্ভব JN1-এর ক্ষেত্রে ভারতীয়দের কোনও নতুন ভ্যাকসিনের প্রয়োজন রয়েছে কি না।

Advertisement
Advertisement

ডা. গুলেরিয়া বলেন, “কোভিড-১৯-এর নতুন নতুন স্ট্রেন তৈরি হতেই থাকবে। আর এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে সরকারকে। তাই নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করাও প্রয়োজন। তবে সেই ভ্যাকসিন যেন আগামী সমস্ত ভ্যারিয়ান্টকে কাবু করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, JN1 স্ট্রেন থেকে বাঁচতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া এবং টিকা নেওয়ার মাধ্যমে এই স্ট্রেন থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব।

Advertisement

Related Articles

Back to top button