দেশনিউজ

অভিনব উদ্যোগ, পঙ্গপাল তাড়াতে বাজানো হচ্ছে গান, দেখুন ভিডিও

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস এর তাণ্ডবের পাশাপাশি ভারতে নতুন আক্রমণ হয়েছে পঙ্গপালের। হাজারে হাজারে পঙ্গপাল ক্ষেতের ফসল নষ্ট করছে। পঙ্গপালকে তাড়ানোর জন্য নানান রকম পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোথাও দেওয়া হয়েছে কীটনাশক, কোথাও বা থালা বাটি বাজানো হচ্ছে। গত ২৬ বছর এমন পঙ্গপালের আক্রমণ ভারতবর্ষ দেখেনি। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিন্তু বহুদিন আগেই আমাদের সহজ পাঠে পঙ্গপালের আক্রমণের কথা উল্লেখ করেছিলেন। পঙ্গপালের আক্রমন প্রতিবছরই হয়। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা অনেকটাই কম থাকে। ক্ষতি হলেও তা খানিকটা সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু এবারে বিষয়টা বীভৎস আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। যা সামাল দিতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে।

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের পুলিশ অফিসার রাহুল শ্রীবাস্তব একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে জোরে গান বাজনা চালিয়ে একটি যানবাহনে করে পঙ্গপাল তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঠিক যেন মনে হচ্ছে ডিজে চলছে। উচ্চস্বরে আওয়াজ পঙ্গপালের দলকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে এই ধারণাতেই এমন কাজ করা হচ্ছে। জোরে গান বাজনা চালানো শুধুমাত্র উৎসব-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা যেতে পারে, এমনটাও নয়। পঙ্গপালের দলকে দিকভ্রষ্ট করতে এই ডিজে গান বাজনাকে, থালা, বাটি বাজানোকে কাজে লাগানো যেতে পারে। কীটনাশক জলের সঙ্গে মিশিয়ে এই পঙ্গপালের দলের উপরে দেওয়া হচ্ছে, ঠিকই কিন্তু এতে ফসলের ভীষণ ক্ষতি হবে। করোনা ভাইরাস এর জন্য এমনিতেই ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা খানিকটা ধুঁকছে। তারপরে এমন পঙ্গপালের আক্রমণে ফসল ধ্বংস হওয়া, পঙ্গপাল তাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত কীটনাশক এর ব্যবহারের ফলেও ফসল ধ্বংস হচ্ছে। সব মিলিয়ে কৃষি ব্যবস্থা ধসে পড়েছে।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

ছোট শিং এর গঙ্গাফড়িং এর প্রজাতির এই পঙ্গপাল তারা তাদের যাত্রাপথে যা যা পায় সব খেয়ে ফেলে। মূলত ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতি বছরই জুন-জুলাই মাসে পঙ্গপালের আক্রমণ হয়। কিন্তু এই বৎসর পঙ্গপালের আক্রমণ অনেক আগে হয়েছে এবং বেশিমাত্রায় হয়েছে। পরিবেশের পরিবর্তনের জন্যই পূর্ব আফ্রিকাতে এই পঙ্গপালের জন্ম অনেক বেশি হয়েছে, এমনটাই দাবি পরিবেশবিদদের। গত সপ্তাহে বিপুল সংখ্যক পঙ্গপাল রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ করে তাদের দাপট চালাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের খরা প্রবণ এলাকা বিদর্ভএও তারা প্রবেশ করতে শুরু করে দিয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমন করতে পারে। করোনার আবহের মধ্যেও পঙ্গপালের আতঙ্ক রীতিমত মানুষকে আতংকিত করে তুলছে, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button