![](https://cdn.bharatbarta.com/wp-content/uploads/2019/11/108220396_mediaitem10822039-17.jpg)
শ্রেয়া চ্যাটার্জি : আনুমানিক ১৮৫৫ থেকে ১৮৭৫ এর মধ্যে বাংলা রামায়ণ কৃত্তিবাস ওঝার জন্ম ফুলিয়ায় এক মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারক শিশুকন্যার বায়না মেটাতে ফুটন্ত চিনির রসে কাঁচা ছানার গুলো ফেলে এক নতুন ধরনের মিষ্টি তৈরি করে ফেলেন।
হারাধন রানাঘাটের পাল চৌধুরী জমিদার বাড়িতে মিষ্টি সরবরাহ করতেন নতুন তৈরি মিষ্টি তিনি সেখানে নিয়ে গেলেন রসগোল্লা জমিদারবাবুর নির্দেশে ফুলে রানাঘাট শান্তিপুর অঞ্চলে মিষ্টি ছড়িয়ে পড়লো তার আবিষ্কৃত হয়েছিল একটু শক্ত।
১৮৬৪ সালে নবীন চন্দ্র দাস অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তৈরি করলেন স্পঞ্জ রসগোল্লা। তবে এতো গেল ইতিহাস। ইতিহাস থেকে রসগোল্লার ঠিক জন্মদিন কবে সেটা খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। জিআই স্বীকৃতি দিনটিকেই রসগোল্লা জন্মদিন হিসাবে আমরা পালন করি।
জন্মদিন হোক বা বিয়ে বাড়ি হোক বা যেকোনো অনুষ্ঠানে শেষপাতে সাদা বড় বড় রসগোল্লা না হলে যেন বাঙালি খাওয়াটা ঠিক শেষ হয়েও হইল না শেষ। একটু বড় আকারের রসগোল্লা সেগুলিকে রাজভোগ বলা হয়, আবার রসগোল্লা যদি শীতকালের নলেন গুড় দিয়ে করা হয় তাহলে তাকে গুড়ের রসগোল্লা বলে, আবার এখন ফিউশন করে রসগোল্লা সঙ্গে চকলেট মিশিয়ে বানানো হয় চকলেট রসগোল্লা।
যেভাবেই হোক যে কোনো রূপেই হোক রসগোল্লা, রসগোল্লা হয়। আর এটাও ঠিক এই রসগোল্লা খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট দিন বাঙালির কাছে থাকে না।