ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Farm business: এই ফার্ম ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে উপার্জন করার লক্ষাধিক, সরকারি ঋণ পান ১০ লক্ষ টাকা

ফার্মের ব্যবসা শুরু করে আপনি প্রতি মাসে ভালো রোজগার করতে পারেন

Advertisement
Advertisement

যদি আপনি গ্রামে বসবাস করেন তাহলে আপনার জন্য আমাদের কাছে রয়েছে একটা দারুন বিজনেস আইডিয়া যার মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা রোজগার করতে পারেন। তার পাশাপাশি আপনি প্রতিমাসে নিজের পরিবারের জন্য ভালো টাকা সেভ করতে পারছেন। এই মুহূর্তে গ্রামীন এলাকায় ব্যবসার মধ্যে পশু খাদ্যের ব্যবসা সব থেকে ভালো বিকল্প হয়ে উঠেছে। গ্রামে যারা বসবাস করেন প্রায় সবাই এই ধরনের ব্যবসা করতে পারেন। ভারতের প্রত্যেকটি মৌসুমে একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ চাহিদা রয়েছে পশু খাদ্যের। ভুট্টার ভুসি গমের ভুসি শস্য এবং ঘাসের মতো কৃষির অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করে আপনি পশু খাদ্য তৈরি করতে পারেন। জিনিসটিকে উচ্চমানের পশু খাদ্যে পরিণত করতে হলে এটাকে ভালোভাবে প্রসেস করতে হবে।

Advertisement
Advertisement

মনে রাখবেন এই উদ্যোগটি শুরু করার আগে আপনাকে কিন্তু প্রয়োজনীয় লাইসেন্স অর্জন করতে হবে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে। লাইসেন্স ছাড়াও এই ব্যবসার আরো অনেকগুলি নিয়ম রয়েছে। সমস্ত প্রবিধান মেনে চলতে হবে আপনাকে এবং তারপরেই আপনি শিল্পের মান উন্নত করার মতো পরিকাঠামো তৈরি করতে পারবেন। বিশেষ করে দুগ্ধজাত পশু পালনের জন্য এই ব্যবসার একটা উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে যেখানে পোল্ট্রি ফার্ম এবং পশুর ফার্ম রয়েছে সেখানে আপনি এই ব্যবসা ভালো করে চালাতে পারবেন।

Advertisement

প্রথমে আপনাকে পশু খাদ্য খামারের নাম নির্বাচন করতে হবে এবং তারপর নির্দিষ্ট আইন অনুসারে আপনার ফার্ম রেজিস্টার করতে হবে। এরপর আপনাকে ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া থেকে ফুড লাইসেন্স অর্জন করতে হবে। উপরন্তু কর সম্মতির জন্য জিএসটি নিবন্ধনের জন্য আপনাকে তালিকাভুক্ত করতে হবে আপনার কোম্পানিটিকে। এই প্রক্রিয়ার জন্য আপনার পশু খাদ্যের যন্ত্রের একটা বিশেষ বর্ণালী প্রয়োজন হবে এবং প্রতিটি শীর্ষস্থানীয় পশু খাদ্য তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। উপরের মানদন্ড পূরণ করার পরে আপনার পরিবেশগত ছাড়পত্রের প্রয়োজন হবে। তারপরে পরিবেশ বিভাগ থেকে একটি এনওসি সুরক্ষিত করতে হবে এবং তারপর সবকিছু হয়ে গেলে আপনাকে লাইসেন্স তৈরি করতে হবে।

Advertisement
Advertisement

আপনি যদি আপনার ব্র্যান্ডের নামে পশু খাদ্য তৈরীর ব্যবসা শুরু করতে চান তবে একটি ট্রেডমার্ক ব্যবহার করতে হবে। আইএসআইয়ের মান অনুযায়ী bis সার্টিফিকেসন তৈরি করতে হবে। এই ব্যবসার জন্য রাজ্য সরকার গুলি কর্মসংস্থান উদ্যোগের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে। আপনি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। এই তহবিল গুরুত্বপূর্ণ হবে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য। আপনাকে ফিড গ্রাইন্ডার, গবাদিপশুর খাদ্যের মেশিন, মিশ্রণের জন্য মিক্সার এবং নির্ভুল ওজনের জন্য স্কেলিং মেশিন কিনতে হবে। আপনি সমৃদ্ধশালী পশু সম্পদ সেক্টরের বিশাল চাহিদাকে পূরণ করতে পারেন এই ব্যবসার মাধ্যমে। এছাড়াও গ্রামীণ অর্থনীতিতে পশু পালনের তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি আপনাকে প্রচুর সুযোগ দেবে। এই ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে যথেষ্ট মাসিক মুনাফা আপনি তৈরি করতে পারবেন। যদি আপনি ভালভাবে ব্যবসা চালাতে পারেন প্রতিমাসে এক লাখ টাকার বেশিও রোজগার করতে পারেন আপনি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button