দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করলো ইংল্যান্ড বাহিনী। ৬ উইকেটে জয় হল ইংল্যান্ডের। টসে জিতে বোলিং নেয় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৬ রান লক করে ভারত। পাহাড় প্রমান এই রান তাড়া করে ৪৩.৩ ওভারের মাথায় ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড। শ্রেয়স আইয়ারের জায়গায় দলে সুযোগ পান ঋশভ পন্থ। এদিকে ইংল্যান্ড টিমেও তিনটি পরিবর্তন দেখা যায়। স্যাম বিলিংস ও মরগ্যানের জায়গায় দলে আসেন লিয়াম লিভিংস্টোন ও ডেভিড মালান। মার্ক উডের পরিবর্তে দলে সুযোগ পান রেসে টপলে।
আজ ওপেনিং স্লটে ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। ১৭ বলে ৪ রান করে চতুর্থ ওভারে রেসে টপলের বলে আউট হন ধাওয়ান। রোহিত শর্মা করেন ২৫ বলে ২৫ রান। স্যাম কারানের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ওপেনারদের ব্যর্থতার পর রান টেনে তোলেন কোহলি ও রাহুল। ৭৯ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ওয়ানডে কেরিয়ারের ৬২ তম হাফ-সেঞ্চুরি করলেন ক্যাপ্টেন। ৩১ ওভারের শেষে আদিল রশিদের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। আগের ম্যাচে অর্ধ শতরান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল। এই ম্যাচে তিনি শতরান স্পর্শ করেন। ১১৪ বলে ১০৮ রান করে টম কারানের বলে ক্যাচ আউট হন। ৭ টি চার ও ২ টি ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস বহুল প্রশংসা পায়।
এদিকে পন্থের ব্যাটিংয়ে দেখা যায় সেই চেনা ঝড়। ২৮ বলে অর্ধ শতরান করেন তিনি। ৪০ বলে ৭৭ রান সংগ্রহ করে দলকে ৩৩৬ রানে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। হার্দিক পান্ডিয়া ১৬ বলে ৩৫ রানের দ্রুত নক খেলে রেসে টপলের বলে উইকেট হারান। ক্রুনাল ৯ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্যাটিংয়ে একপ্রকার ঝড় তলে ভারতীয় টিম। ইংল্যান্ডের হয়ে ২ টি করে উইকেট পান টম কারান ও রেসে টপলে। স্যাম কারান ও আদিল রশিদ ১ টি করে উইকেট নেন।
ইংল্যান্ড তাদের ব্যাটিং এর শুরুটা বেশ ভাল করে। প্রথম ১৫ ওভার পর্যন্ত কোন উইকেট পায়নি ভারত। ১৬.৩ ওভারে রোহিত শর্মার দ্বারা রান আউট হন জেসন রয়। এরপর ইংল্যান্ডকে থামতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় ভারতীয় বোলাররা। রানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জয়ের দিকে ধাপেধাপে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ২৮৫ রানে ইংল্যান্ডের ২য় উইকেটের পতন হয়। ২৮৭ রানে পরপর আরও ২ টি উইকেটের পতন হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৪৩.৩ ওভারে সহজভাবে জয় হাসিল করে নেয় ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন বেয়ারস্টো। ১১২ বলে ১২৪ রান করেন তিনি। রয় ৫৫,বেন স্টোকস ৯৯ রান তোলেন। ভারতের হয়ে ২টি উইকেট পান প্রসিধ কৃষ্ণ ও ভুবনেশ্বর পান ১টি, হাড্ডাহাড্ডি এই ম্যাচ জিতে সিরিজের স্কোর ১-১ করে ইংল্যান্ড।