নিউজপলিটিক্সরাজ্য

দল ছাড়ছেন না দাদার অনুগামী মোয়ারফ এবং গৌরচন্দ্র, শুভেন্দুকে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়

Advertisement
Advertisement

পরিবহণ মন্ত্রীর শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার উঠেছে তুঙ্গে। দিন দিন বাড়ছে তার সাথে দলের দূরত্ব। এইদিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের ওপর আস্থা জ্ঞাপন করে প্রকাশ্যে বিবৃতি মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল ও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন। তাদের ২ জনের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল জল্পনা। যা নিয়ে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসক শিবির।

Advertisement
Advertisement

রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে মোসারফ হোসেন বলেন,”আমি দলেই রয়েছি। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমি দল মানে তৃণমূলের হয়েই কাজ করব।” অন্যদিকে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলও একই রকম বার্তা দিয়েছেন। সোমবার তথা আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, দলে ২ জনই শুভেন্দুর অনুগামী নামে পরিচিত।

Advertisement

শুভেন্দু অধিকারীর সাথে দলের দূরত্ব বেড়েছে প্রায় অনেকদিনই। তার সাথেই প্রশ্ন উঠেছিল মোসারফ এবং গৌরচন্দ্র মণ্ডলের গতিবিধি নিয়ে। কিছুদিন আগে জেলাপরিষদ বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে গিয়েছিলেন দিঘা ঘুরতে। গত ৮ তারিখ মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে প্রয়াত জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষের স্মরণসভার আয়োজন করতে দেখা গিয়েছিল জেলা পরিষদ সভাধিপতি মোসারফ হোসেন। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কোনও দলীয় প্রতীক ছিলনা এই সভায়। তাই সভায় দেখা যায়নি কোনও তৃণমূলের নেতাকে। এর পর মোসারফ হোসেনের সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

Advertisement
Advertisement

তৃণমূল সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, ২ জনই দলের অন্দরে ভুল স্বীকার করেছেন। সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেনে নিয়েছেন দলনেত্রী হিসেবে। নেতাদের দাবি, তাদের এই ভুল বোঝাবুঝির পিছনে ছিল বিরোধীদের চক্রান্ত। ফলে দলের সঙ্গে অনেকটাই ভুল বোঝা বুঝি তৈরি হয়েছিল তাদের।

Advertisement

Related Articles

Back to top button