দেশনিউজভাইরাল & ভিডিও

অক্সিজেন নেই, করোনা আক্রান্ত স্বামীকে বাঁচাতে মুখে মুখ দিয়ে অক্সিজেন স্ত্রীয়ের

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সরোজিনী নাইডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে

Advertisement
Advertisement

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের বুকে আছড়ে পড়েছে। সংক্রমনের সুনামির মাঝে রীতিমতো অসহায় গোটা দেশের মানুষ। প্রায় প্রতিদিন সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ছে। এই মুহূর্তে প্রতিদিন ভারতজুড়ে সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হচ্ছে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। একদিকে যেমন হাসপাতালের বেডের আকাল, ঠিক অন্যদিকে একাধিক রাজ্যে পাওয়া যাচ্ছেনা অক্সিজেন। অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীরা শেষ মুহূর্তে নিঃশ্বাস না নিতে পেরে মৃত্যু হয়েছে। তবে গতকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি হৃদয়বিদারক ছবি ভাইরাল হচ্ছে যাতে দেখা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত স্বামীর জন্য শেষ মুহূর্তে অক্সিজেনের জোগাড় করতে না পারায় তাকে বাঁচানোর জন্য স্ত্রী নিজের ভাগের অক্সিজেন দেবার চেষ্টা করছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শেষ রক্ষা হয়নি। ছবিটি আগ্ররার রেনু সিংঘলের।

Advertisement
Advertisement

জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত স্বামীর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে অটোতে করে হাসপাতালে দিকে রওনা হয়ে ছিল রেনু। তবে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই স্বামী প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন তার কাছে কোনো অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল না। তাই নিরুপায় হয়ে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য রেনু মুখে মুখ দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু শত চেষ্টাতেও শেষ রক্ষা হয় না। হাসপাতালের বাইরে স্ত্রীয়ের কোলে মাথা রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই ব্যক্তি। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আসতেই দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত রবি সিঙ্ঘল উত্তরপ্রদেশের আবাস বিকাশ ৭ এর বাসিন্দা। তাকে সরোজিনী নাইডু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অটোতে মৃত্যু হয়। এই হৃদয়বিদারক ছবি চোখে আঙ্গুল দিয়ে গোটা দেশকে দেখিয়ে দিচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল। কিছুদিন আগেই নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল নেতৃত্বে অফিসারদের একটি গ্রুপ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রক কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন যে করোনার জন্য ব্যাপক অক্সিজেন চাহিদা বাড়বে। এখন যে পরিমাণ এদেশে মৃত্যু এবং সংক্রমণ হচ্ছে তাতে বিকল্প পরিকল্পনা ভাবতে হবে বলে তারা মনে করছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button