নিউজপলিটিক্সরাজ্য

হিন্দিতে উপাচার্যের ভাষণকে ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক, ছাতিম পাতা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা 

প্রতিবছরের মতো এইবার দেওয়া যায়নি ছাতিম পাতা এবং শংসাপত্র। এর মাঝে উপাচার্যের হিন্দি ভাষণকে ঘিরে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। 

Advertisement
Advertisement

বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্ব ভারতীর। আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুক্রবার তথা আজ সমাবর্তনে ভাষণ দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র্য শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল সহ বেশ কয়েকজন অধ্যাপকও। প্রথা মেনে মন্ত্র উচ্চারণের পর উপাচার্যের ভাষণ শুরু হয়। কিন্তু বাংলায় নয়, হিন্দিতে। বিশ্বভারতীতে ‘হিন্দি ভাষণ’কে ঘিরে তাদের মধ্যে জমে রয়েছে ক্ষোভ। হতাশ পড়ুয়া এবং বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষকরা। প্রতিবাদের মতো এই বার আর ছাতিম পাতা এবং শংসাপত্র দেওয়া হয়নি তাদের। সেই কারণেই জমেছে হতাশা।

Advertisement
Advertisement

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দির প্রাধান্য নিয়ে আগেও তৈরি হয়েছে বহু বিতর্ক। শুক্রবারের অনুষ্ঠানেও যে হিন্দির বহুল ব্যবহার হয়েছে, তা নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হবে, সেই বিষয়ে আগেই ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। এইবার প্রদানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উপাচার্যের রাখা হিন্দি বক্তব্য যেন আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী নুরুল হক বলেন,”আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বাংলায়। এখানে অতিথিরাও বাংলা জানেন। ভাষার গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে উপাচার্য অন্তত বাংলায় ভাষণ দিতে পারতেন ।” তার মতো অনেকে তুলেছেন নিন্দার ঝড়ও।

Advertisement

তবে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া পড়ুয়ারা বলছেন, অতিথিদের বাংলা বলার ‘চেষ্টা’ দেখে তারা খুশি। সকলেই বাংলাকে প্রাধান্য দিয়েছেন, এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেননি ছাত্রছাত্রীরা। তবে হতাশা আছে তাদের ও । প্রথা মেনে প্রতি বছরের মতো এই বছর পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি ছাতিম পাতা ও শংসাপত্র। যে কোনও পড়ুয়ার কাছেই সমাবর্তন এক স্মরণীয় অনুষ্ঠান। করোনার কোপে সেখানেও বাধা পড়ায় অনেকেই হতাশ। এই অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যপূর্ণ সপ্তপর্ণী পাওয়া অনেকের কাছেই স্বপ্নের। তা মেলেনি, তাই মন খারাপ বিশ্বভারতীর পড়়ুয়াদের।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button