Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘কংগ্রেস পরবর্তীতে তৃণমূলকে সমর্থন করবে’, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে নয়া জট জোট সংগঠনে

মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুবাবু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন

Advertisement
Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচন শিয়রে এসে উপস্থিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে এবারের নির্বাচন মোট ৮ দফায় সম্পন্ন হবে। সেইমতো রাজ্যের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। বাম কংগ্রেস এবং আইএসএফ এবার জোট সরকার গঠন করে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই জোট সরকার গড়ার পিছনে চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতা। তিন দলের নেতাদের মধ্যে কথার সামঞ্জস্য খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুদিন আগেই সংযুক্ত মোর্চায় ব্রিগেড সমাবেশে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে ভোটের পর যদি বাংলায় ত্রিশঙ্কু হয় তাহলে জোট সরকার কি করবে? সেই সাথে তিনি এও বলেছিলেন এমন কোন ঘটনা ঘটলে দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কোলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু এবার মালদহ দক্ষিনে কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালুবাবু সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে একই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলায় ত্রিশঙ্কু অবস্থা হলে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে।” ডালুবাবুর কথায় রীতিমতো জোট সরকারের নতুন জট পেকে গেছে। আসলে এবারের জোট সংগঠনে তিনটি দল একই সূত্রে গাঁথা থাকলেও তারা যে নিজেদের মতো কাজ করছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। জোট সংগঠনের এমন ভিন্ন মতবাদ বিভ্রান্ত করছে তাদের সমর্থকদের।

Advertisement

এছাড়াও কিছুদিন আগে ভাইজানের আইএসএফ জোট সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তীব্র বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস। এখনো যে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে তা বোঝা গেল ডালুবাবুর আরেক কথায়। তিনি বলেছেন, “বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়েছে কিন্তু কংগ্রেস আর আইএসএফ এর জোট হয়নি। আব্বাসের দলের হাত বামেরা ধরেছে। আমরা কিন্তু ধরিনি। এই জোটে তাদের প্রবেশকে আমরা ভালভাবে নেয়নি।” এছাড়াও সংযুক্ত ব্রিগেড সমাবেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সাথে আব্বাস সিদ্দিকীর দূরত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিল যে তাদের মধ্যে খুব একটা সুসম্পর্ক নেই।

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে ডালুবাবুর কথার প্রসঙ্গে মালদহ জেলার সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেছেন, “বাম কংগ্রেস এবং আইএসএফ সবাই জোটে রয়েছে। সাংসদ কেন এমন বললেন তা আমার জানা নেই।” প্রসঙ্গত, মালদহের ১২ টি আসন নিয়ে জোট সংগঠনে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে এই ১২ টি আসনের মধ্যে ৯ টি আসনে কংগ্রেস ও বাকি ৩ টি ফ্যাশনে সিপিএমের লড়ার কথা। তবে আবার আরএসপি ও ফরওয়ার্ড ব্লক তিনটি আসনে তাদের প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এর ফলে কংগ্রেস মালদহ জেলার চারটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের নির্বাচনে লড়বেন।

Advertisement

Related Articles

Back to top button