দিল্লির ইতিহাসে সর্বনিম্ন ভোট কংগ্রেসের, এবার শূন্য থেকে লড়াইয়ে ফেরার প্রতিশ্রুতি শীর্ষ নেতৃত্বের
এই বছর বিধানসভা নির্বাচনের একটিও আসন জিততে পারেনি কংগ্রেস। যারা দিল্লিতে ১৫ বছর শাসন করেছে, আজ রাজনৈতিক ভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে রাজধানীতে। তৃণমূল স্তর থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হওয়াও নেতাদের উপর তীব্র ক্ষোভ স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে ভোটের ফলাফলে।
‘আমরা দিল্লিবাসীর দেওয়া রায়কে বিনয়ের সঙ্গে মাথা নত করে স্বাগত জানাই। আমরা এখন শূন্য থেকে কংগ্রেসকে পুনরুদ্ধারে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে কাজ করব।’ কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন। ‘এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এই ক্ষতি আমাদের কাছে হতাশার নয়, এটি আমাদের আরও প্রত্যয়ী করে তুলেছে।’ আরও যোগ করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র সুরজেওয়ালা।
আরও পড়ুন : জয়ের পর দিল্লীবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন কেজরিওয়াল
নির্বাচনী প্রচারে পিছিয়ে পড়া, নেতৃত্বের সংকট এবং শীর্ষ নেতৃত্বের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দলের প্রতি মানুষের বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করেছে বলে মনে হচ্ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর ১৫ বছরের মেয়াদে যে উন্নয়ন হয়েছিল তা নিয়ে দিল্লি নির্বাচনের প্রচার চালিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তা ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। ভোটের ফলাফলের প্রবণতা সামনে আসার সাথে সাথে কংগ্রেসের ‘দিল্লি ইউনিট’র মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব।