দেশনিউজ

করোনা পরিস্থিতির কারণে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হবে না অতিরিক্ত সুযোগ, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Advertisement
Advertisement

নয়াদিল্লি: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির কারণে সিভিল সার্ভিস (Civil Service) পরীক্ষায় বসার শেষ সুযোগ খোয়ালেও দেওয়া হবে না অতিরিক্ত সুযোগ। গতকাল, বুধবার (Wednesday) এই সংক্রান্ত একটি আবেদন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

Advertisement
Advertisement

উল্লেখ্য, এ বিষয় আবেদন জানায় এক পরীক্ষার্থী। গত বছর অক্টোবরে তিনি তার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার শেষ সুযোগটি ব্যবহার করেন। আদালতের কাছে ওই পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, তাকে আরেকটি সুযোগ দেওয়া হোক। যুক্তি হিসেবে আদালতকে তিনি বলেন, কোভিড অতিমারি এবং তার জেরে দেশ জুড়ে লকডাউনের কারণে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হয়েছিল তার। সুপ্রিম কোর্ট পাল্টা জবাবে তাকে জানিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার সব প্রার্থীকেই সমানভাবে প্রভাবিত করেছে। এখন যদি সুযোগ শেষ হওয়া পরীক্ষার্থীদের করোনা পরিস্থিতির কারণে অতিরিক্ত সুযোগ দিতে হয়, তাহলে তো এমন সুযোগ চেয়ে আবেদন আসতেই থাকবে।

Advertisement

পরীক্ষার্থীর নাম অনুশ্রী কাপাডিয়া। তার আবেদন শুনছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এম রস্তোগি। পরীক্ষার্থীর হয়ে তার আইনজীবী আদালতে যে যুক্তি খাড়া করেছিলেন, তার প্রশংসা করে রস্তোগি বলেন, ‘‘আপনি আপনার যুক্তিগুলি গুছিয়েই পেশ করছেন। বিষয়গুলি স্পষ্ট করে জানিয়েওছেন।’’ কিন্তু তার পরেও অনুশ্রীকে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার অতিরিক্ত সুযোগ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
Advertisement

সাধারণ শ্রেণিভুক্ত পরীক্ষার্থীরা ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত ৬ বার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান। অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণিভুক্তরা ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান ৯ বার। আর তফশিলী জাতি ও উপজাতি ভুক্তরা ৩৭ বছর বয়স পর্যন্ত যত বার খুশি এই পরীক্ষায় বসতে পারেন।

২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে এই ধরনের সরকারি আমলা ও কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা ভেবেই কেন্দ্র প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, পরীক্ষার্থীর বয়স যদি নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকে, তবে অতিরিক্ত একটি সুযোগ দেওয়া যেতে পারে পরীক্ষার্থীকে। অনুশ্রীর ক্ষেত্রে তাঁর বয়ঃসীমাও পেরিয়ে যাওয়ায়, আদালত মামলাটিকে কোনও বিশেষ সুবিধার কথা না ভেবে তার বিষয়বস্তুর ভিত্তিতেই রায় দান করে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button