দেশনিউজ

চিনের সঙ্গে রাজনাথের বৈঠকের সিদ্ধান্ত ভুল, ক্ষোভ প্রকাশ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর

×
Advertisement

ভারত : চিনের সঙ্গে রাজনাথের বৈঠককে ভালো চোখে দেখছেন না, বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। চিন এবং ভারতের এই আগ্রাসন নীতি শেষ হতে না হতেই এসবের মাঝেই ফের আরেকবার ভারতকে নিশানা করেছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তজেনা বৃদ্ধির জন্য নয়াদিল্লির দিকে আঙুল তুলেছে বেজিং বলেছে, এক ইঞ্চি জমিও তারা ছেড়ে দেব না। শনিবার চিনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে দুদেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং পূর্ব লাদাখে সংঘাতের জন্য সম্পূর্ণভাবে ভারতকেই দায়ী করা হয়েছে।

Advertisements
Advertisement

কিন্তু চিনের এই অপমানজনক বিবৃতিতে ছেড়ে কথা বলেনি ভারতও। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “বিশাল সংখ্যক সেনা সমাবেশ, আগ্রাসী আচরণ এবং স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করার মতো কার্যকলাপের মাধ্যমে শি জিনপিংয়ের দেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গ করছে”।গতকাল মস্কোয় চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংহের সঙ্গে রাজনাথ সিংয়ের বৈঠক হয়। এই বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো লাদাখের উত্তেজনা। ২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের এই বৈঠক শেষে নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করেন “রক্ষামন্ত্রী” রাজনাথ।

Advertisements

কিন্তু চিনের সাথে এই বৈঠককে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি বিরাট ভুল বলে মনে করে এদিন ট্যুইট করে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান, “আমাদের ভালোর জন্যে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক না করলেও পারতেন রাজনাথ সিং। তারা যতই সাক্ষাৎ করার ইচ্ছে করুক না কেন। এক্ষেত্রে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে হত। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। আগামী সপ্তাহে চিনের বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বাতিল করা উচিৎ ভারতের। কারণ ভারত চায়, চিন আমাদের ভূখণ্ডে না ঢুকুক, কিন্তু চিন ওই এলাকাগুলিকে নিজেদের বলে মনে করে। তাই চিন সেই অবস্থান বাতিল করবে না”।

Advertisements
Advertisement

দুদিন আগেই ভারত চিনের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, এই উত্তপ্ত পরিবেশে শান্তি ফিরতে বেশ বেগ পেতে হবে চিনকে। এদিন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স-এর সভায় চিনের প্রতি তার খারাপ মনোভাব স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। তিনি বলেন, “আমরা প্রথম চিন সীমান্তে আমাদের দেশের বীর সেনাদের জীবন হারিয়েছি। এমন মৃত্যুর ঘটনা শেষ ৪০ বছরে ঘটেনি। ১৯৬২ সালের পর থেকে এমন পরিস্থিতি আর কখনই তৈরি হয়নি। ‌ভারত কিছুতেই আগের মতো চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক রাখতে পারবে না”। আর শ্রিংলার পর এদিন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জানান চিনের সাথে ভারতের বৈঠকের কোন মানে হয়না।

Related Articles

Back to top button