ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতিদেশনিউজ

কৃষকদের জন্য সুখবর, এবার মাত্র ৭ শতাংশ সুদে পাওয়া যাচ্ছে দারুন ঋণ

কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য একটা নতুন পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার

Advertisement
Advertisement

আসন্ন অন্তর্বর্তী বাজেটে আগামী অর্থ বছরের জন্য কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২২ থেকে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা বৃদ্ধি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক যোগ্য কৃষকের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের এক্সেস রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি আর্থিক বছরে সরকারের কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কুড়ি লক্ষ কোটি টাকা। বর্তমানে সরকার সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণের সুবিধা দিচ্ছে। আর সেই ঋণের উপরে সুদের হার ২ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ কৃষকরা বছরে ৭ শতাংশ হারে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণ গ্রহণ করতে পারেন।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু যদি কোন কৃষক সময় মতো ঋণ পরিশোধ করেন, তাহলে প্রতিবছর ৩ শতাংশ অতিরিক্ত ঋণের উপরে ছাড় পেতে পারেন। দীর্ঘকালীন ঋণও গ্রহণ করতে পারেন কৃষকরা। আর এই দীর্ঘকালীন ঋণ কৃষকরা পাবেন একেবারে বাজারদর অনুযায়ী। সূত্রের খবর, ২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের জন্য কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২২ থেকে ২৫ লাখ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই মুহূর্তে কৃষি ঋণের উপরে অতিরিক্ত নজর দিয়েছে সরকার। সেই কারণেই বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে এই কৃষি ঋণের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কৃষি মন্ত্রণালয় এই ঋণ সম্পর্কিত কাজের জন্য ইতিমধ্যেই একটি ক্রেডিট নামের বিভাগও তৈরি করেছে। ফলে সব মিলিয়ে বিষয়টা এখন কৃষকদের জন্য বেশ লাভজনক।

Advertisement

এছাড়াও সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কৃষি এবং আনুষঙ্গিক কার্যক্রমের জন্য ঋণ বিতরণ গত ১০ বছরে লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। সরকারি তথ্য মারফত জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি ঋণ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮২% অর্জিত হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৬.৩৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ বেসরকারি এবং সরকারি উভয় ব্যাংক বিতরণ করেছে। সূত্র মারফত আরো জানা গিয়েছে, যেভাবে ভারতের কৃষি ক্ষেত্র এগোচ্ছে, তাতে ঋণ বিতরণ চলতি অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ ২৩ আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে মোট ২১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল, যা সেই বছরের জন্য বরাদ্দ ১৮.৫০ লক্ষ কোটি টাকার থেকেও ৩ লক্ষ কোটি টাকা বেশি ছিল।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button