নিউজপলিটিক্সরাজ্য

১৮ বছরের বেশিদের টিকা দিতে দেরি করেছে কেন্দ্র, টিকাকরণের কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা

মমতা করেছেন কেন্দ্রীয় টিকাকরণের কর্মসূচি শুরু করার জন্য গড়িমসি করেছে এবং এখন গা বাঁচানোর চেষ্টা করছে

Advertisement
Advertisement

ভ্যাকসিন নিয়ে আবারও প্রকাশ্য কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংঘাত। কেন্দ্রীয় সরকারের গণ টিকাকরণ পরবর্তী পর্যায়ে আবারো প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বললেন, “১৮ বছরের উর্ধ্বে ভ্যাকসিন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক গড়িমসি করেছে বিজেপি সরকার। আর এখন গা বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য টিকাকরণ নীতি আমাদের প্রয়োজন।”

Advertisement
Advertisement

করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য করোনা টিকা, প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা রাজ্যের এবং কলকাতার সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস এর পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রের কাছে অনুমোদন চেয়েছিলেন, রাজ্য নিজেদের তহবিল থেকে বিনা পয়সায় সকলকে করোনার টিকা দিতে চাইছে। তার জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে করোনা টিকা কেনার অনুমোদন তিনি পাননি।

Advertisement

সোমবার বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবার থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে এর সমস্ত মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। গণ টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা হবে এবং ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে খোলাবাজারে। তার পাশাপাশি রাজ্য এই ভ্যাকসিন এবার থেকে কিনতে পারবে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো একবার চিঠি লিখেছেন মমতা। সেই চিঠিতে তিনি তার আগের চিঠি কথা উল্লেখ করেছেন। অভিযোগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তার আগের চিঠির কোন উত্তর দেননি।

Advertisement
Advertisement

তার সাথে সাথেই এবারে বলেছেন, “দ্বিতীয় তরঙ্গের সময়ে হু হু করে করোনাভাইরাসের প্রভাব বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ঘোষনায় টিকার কার্যকারিতা, টিকার গুণমান, সরবরাহ নিয়ে রাজ্য সরকারকে কোন সমাধান দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় সরকার। তার পাশাপাশি তিনি বলেছেন, রাজ্যকে কত দাম দিয়ে এই টিকা কিনতে হবে তাও ঘোষণা করা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা করেছেন, এই ঘোষণার ফলে বাজারে অসাধু প্রবণতা দেখা যেতে পারে এবং সাধারণ মানুষের টিকা কেনার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Advertisement

Related Articles

Back to top button