Today Trending Newsনিউজরাজ্য

প্রখ্যাত জাদুকর পিসি সরকারের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই, চিটফান্ড মামলায় জড়িত বলে অভিযোগ

পিসি সরকারের মুকুন্দপুরে বাড়িতে গিয়ে পিসি সরকার জুনিয়রকে সিবিআই টাওয়ার গ্রুপ চিটফান্ড মামলা নিয়ে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করেন

Advertisement
Advertisement

এবার চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের নজর পড়লো প্রখ্যাত জাদুকর পিসি সরকারের বাড়ির অন্দরে। টাওয়ার গ্রুপ চিটফান্ড মামলায় আজ সিবিআই পিসি সরকার জুনিয়র এর মুকুন্দপুরের বাড়িতে হঠাৎই সকাল এগারোটা নাগাদ হানা দেয়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে পিসি সরকার জুনিয়রকে সিবিআই আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন পিসি সরকারের দুই মেয়ে। অবশ্য পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের বাড়ির ভেতর ঢুকতে বাধা দেয়।

Advertisement
Advertisement

সিবিআই দাবি করেছে, টাওয়ার গ্রূপের আর্থিক দুর্নীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিল জাদুকর পিসি সরকারের পরিবারের জুনিয়র পিসি সরকার। তারা জানিয়েছে পিসি সরকার জুনিয়র টাওয়ার গ্রূপের থেকে বিভিন্ন পরিষেবা দেয়ার নাম করে মোটা টাকা চার্জ করেছিল। কিন্তু সেই পরিষেবা কখনো তিনি দেননি। এছাড়া টাওয়ার গ্রূপের একটি রেস্তোরাঁয় পিসি সরকারের জাদু খেলা দেখানোর কথা ছিল। সেই জাদুখেলা দেখানোর জন্য সে মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক চেয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় টাওয়ার গ্রুপ সেই পারিশ্রমিক দিলেও বাস্তবে ওই রেস্তোরাঁর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এছাড়াও নানা ভাবে আগাম মোটা টাকা পৌঁছেছে পিসি সরকারের অ্যাকাউন্টে, যা সম্পূর্ণ হিসাব বহির্ভূত। এছাড়াও সিবিআই-এর এক গোয়েন্দা জানিয়েছেন, পিসি সরকার জুনিয়র টাওয়ার গ্রূপের ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। তিনি ওই সংস্থার থেকে মোটা টাকা নিতেন। এমনকি ব্যাংক লেনদেন ছাড়াও নগদ লেনদেন হতো তাদের মধ্যে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, পিসি সরকার জুনিয়র বাংলায় গেরুয়া শিবিরের প্রথম আগমনের সময় একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বারাসাত কেন্দ্র থেকে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে ২০১৬ সালে টাওয়ার গ্রুপ চিটফান্ড কেলেঙ্কারি সাথে নিজের নাম জড়ানোর পর তিনি রাজনীতি থেকে দূরে সরে যায়। আজও অবশ্য বাংলা গেরুয়া শিবিরের পিসি সরকারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে সুর নরম ছিল। বিজেপির দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “কার কাছে টাকা নিয়েছে তার থেকে বড় কথা হল কার কাছ থেকে টাকাটা গিয়েছে। সিবিআই তাদের আগে খুঁজে টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করুক।”

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button